বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি
প্যারিস: এফডিএইচআর ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ফোরাম ফর দি ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ফ্রান্স আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্র, আইনেরশাসন ও সাধারণ নাগরিকদের জানমাল রক্ষায় জাতিসংঘের সরাসরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
রোববার ৫ জানুয়ারি বিকাল তিনটায় ফ্রান্সের ঐতিহাসিক প্লাস ডোলারিপাবলিক চত্বরে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ সংগঠনের চেয়ারম্যান মানবাধিকারকর্মী মুহাম্মদ আল আমিনের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল মানবাধিকারকর্মী সাংবাদিক মাহবুব হোসাইনের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা আন্তর্জাতিক ফারাক্কা আন্দোলনের সফল সংগঠক অ্যাডভোকেট কাজী আবদুল্লাহ আল মামুন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন কালেক্টেভ হ্যাম্ব-এর প্রেসিডেন্ট এরিসন রডিন, মানবাধিকারকর্মী লুসিয়ান সিম্ফনী, টিম হিরো, ফ্রান্স বিএনপি নেতা আবুল কালাম ফরাজী, সিরাজুল ইসলাম মিয়া, সৈয়দ সাইফুর রহমান, হাজী হাবিব, শাহেদ আলী, মিরজান আলী, আবদুল কাইয়ুম, কবি আতিকুল ইসলাম, কমিউিনিটি ব্যক্তিত্ব টিএম রেজা, কমিউিনিটি ব্যক্তিত্ত্ব ও সাংবাদিক সোহেল ইবনে হোসাইন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হিনু মিয়া, জিয়া পরিষদের মনিরুলইসলাম, এডভোকেট জয়নাল আবেদীন, এফডিএইচআর অ্যাসিট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল, আবদুর রহিম মিয়া, আয়েসা আক্তার ও মিলি প্রমূখ।
এ ছাড়া অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক খান জামাল, কানাইঘাট সমিতির মিনহাজুলইসলাম, মফিজ মিয়া, জালাল খান ও সিরাজুর রহমান প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে সাংবিধানিকভাবে বৈধ কোনো সরকার নেই। ক্ষমতালোভী এ সরকার দায়িত্ব হণ করার পর থেকে দেশের আপামর সব ধর্মের নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার পূরণে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।
তারা বলেন, সম্প্রতি নতুন করে আবার ক্ষমতায় যাবার জন্য দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের মতামতকে উপেক্ষা করে একদলীয় নীলনকশার নির্বাচন আয়োজন করছে। আর নির্বাচন করার নির্বিঘ্নে করার জন্য দেশের সকল বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারএবং ক্রসফায়ারের নামে গণহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, এ ছাড়া ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা পুলিশের পোশাক পরে দেশব্যাপী বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের বাড়ী ঘর বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাংচুর, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ ক্ষমতাসীনদের এখননিত্য নৈমত্তিক ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাতক্ষীরাসহ কয়েকটি জেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে যে বর্বরতা চালিয়েছে তা একাত্তরের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
সমাবেশে সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও অন্যায় কর্মকাণ্ডের আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানানো হয়। সমাবেশে ফ্রান্সে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা দলমত নির্বিশেষে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশ গ্রহণ করে। বিদেশীদের মধ্যে অনেকে শুভাকাঙ্ক্ষী সমাবেশে যোগ দেয়