বিএনপির পাঁচ নেতা কারাগারে শুনানি বৃহস্পতিবার
ঢাকা: বিএনপির আটক পাঁচ নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে দুই মামলায় ১০ দিন করে প্রত্যেকের ২০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি মুলতবি করা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বর্ধিত শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জয়নাব বেগম এই দিন ধার্য করেন।
শনিবার বিকেল চারটা ২০ মিনিটে ওই পাঁচ নেতাকে এজলাসে নেয়ার পর শুনানি শুরু হয়। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে আদালত বিএনপির নেতাদের জামিন আবদেন নাকচ করে তাদের জেলাহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। পুলিশের করা রিমান্ডের আবেদনের ওপর বর্ধিত শুনানির দিন ধার্য করা হয় ১৪ নভেম্বর।
বিরোধী দলের ডাকা গত দুই দফার হরতালে রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা দুটি মামলায় ওই পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। হরতালে নাশকতার অভিযোগে মতিঝিল থানায় করা মামলা দুটির একটি দায়ের হয় ২৪ আগস্ট (মামলা নম্বর ৪৪), অন্যটি ৫ নভেম্বর (নম্বর ১৫)। পুলিশ এই দুই মামলায় তাদের প্রত্যেকের ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে আদালতে।
শনিবার বেলা তিনটার দিকে পাঁচ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পর প্রথমে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের গরাদখানায় রাখা হয় তাদের। পরে এজলাসে নেয়া হয়।
বিএনপির নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন, বর্তমান সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার ১৮ দলের হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার পর রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শিল্পপতি আব্দুল আউয়াল মিন্টু ও বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে গতকাল শুক্রবার রাতে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)