adv
১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভয়ংকর এক মাফিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মুখ খুলেছিলেন প্রীতি, তারপর…

বিনোদন ডেস্ক : বড় পর্দায় তাকে ডাকাবুকো চরিত্রে ভুব একটা দেখা যায়নি। বরং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাশের বাড়ির দুষ্টুমিষ্টি মেয়ের মতো উচ্ছল, আদুরে। দুই গালে বড়সড় টোল। হাসি ছড়ালে ডাগর চোখেও ঝলকানি খেলে যায়। বলিউডি পর্দায় প্রীতির ইমেজ খানিকটা এমনই। সেই নিরীহ ইমেজের প্রীতিই এক আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। সে হলো ছোটা শাকিল!

প্রীতি যে ছোটা শাকিলের মতো ডনের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেন, তা নাকি অনেকেই আঁচ করতে পারেননি। তবে জীবনের প্রথম বলিউড ফিল্মেই যিনি কুমারী মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে ঝুঁকি নিয়েছেন, তাকে আর পাঁচটা বলিউড নায়িকার সঙ্গে একসারিতে অনেকেই রাখতে চান না।

সালটা ছিল ২০০১। ‘চোরি চোরি চুপকে চুপকে’ ফিল্মের শ্যুটিং চলছে। ওই ছবিতে সালমান খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন প্রীতি। পরিচালক আব্বাস মাস্তানের সেই ফিল্মের কাজ চলাকালীনই প্রীতির কাছে মোটা অংকের টাকা চেয়ে হুমকি ফোন আসে বলে অভিযোগ।

অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে অভিনেত্রীর কাছ থেকে ৫০ লাখেরও বেশি টাকা চাওয়া হয়েছিল বলে দাবি প্রীতি। মুম্বাইয়ের আদালতে দাঁড়িয়ে এ দাবি করেছিলেন তিনি। ছোটা শাকিলের বিরুদ্ধেই অভিযোগ ছিল তার। আদালতে ছোটা শাকিলসহ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যও দেন নায়িকা।

ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী প্রীতি এক সময় স্নাতকোত্তর পর্বে ক্রিমিনাল সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। তাই চাঁদাবাজির হুমকি পাওয়ার পর চুপচাপ বসে থাকেননি। আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে খোলাখুলি কথাও বলেন প্রীতি। তবে তা ঘটনার ১৭ বছর পর। কী হয়েছিল, কোন পরিস্থিতিতে আদালতের দ্বারস্থ হন, তাও খোলসা করেন।

২০১৮ সালে এক সংবাদমাধ্যমের সম্মেলন চলাকালীন প্রীতি দাবি করেন, আদালতে ছোটা শাকিলের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন তিনি। ছোটা শাকিলের ভয়ে সিঁটিয়ে ছিলেন তার ফিল্মের লোকজনও। বলিউড পাড়ায় এ জল্পনাও ছড়িয়েছিল যে, ফিল্মের প্রযোজক নাজিম রিজভি এবং লগ্নিকারী ভরত শাহের মাথায় নাকি গ্যাংস্টার ছোটা শাকিলের হাত ছিল।

ছোটা শাকিলের বিরুদ্ধে প্রীতি আদালতে ছুটলেও তেমনটা নাকি করেননি ওই ছবির অন্য তারকারা। যেমন- অমিতাভ বচ্চন, সালমান খান, রাকেশ রোশন এবং মহেশ মঞ্জরেকর। কানাঘুষায় শোনা যায়, তারাও ছোটা শাকিলের হুমকি ফোন পেয়েছিলেন। তবে আদালতে বিবৃতি দেওয়ার ঠিক আগেই পিছু হঠেন সকলে।

তারকাদের নিঃশ্চুপ থাকা নিয়েও তোপ দেগেছিলেন প্রীতি। বলেছিলেন, ‘সকলেইপিছিয়ে আসবেন জানা থাকলে আমিও মুখ খুলতাম না।’ আরও বলেন, ‘হুমকি পাওয়ার পর জীবনে সবচেয়ে বেশি ভয় পেয়েছিলাম। আমার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। কারণ আদালতে সাক্ষী দেওয়ার মিনিট দশেকের মধ্যেই তা টিভিতে প্রচার হয়েছিল।

তবে সে সময় প্রীতির সাহস দেখে বাহবা দিয়েছিলেন অনেকেই। ঘটনার ১৭ বছর পর নায়িকা বলেন, ‘ওরা আমাকে ভয় দেখালেও ঠিকঠাক ছিলাম। কিন্তু এক সময় আমাকে গালিগালাজ করতে শুরু করে। চাপের মুখে মাথা ঠান্ডা রাখতে অসুবিধা হয়নি। তবে লোকে আমাকে গালিগালাজ করবে আর আমি চুপ করে বসে থাকব, সেটা অসহ্য! সৌভাগ্যের কথা যে আমার নামডাক রয়েছে। না হলে যে কী সমস্যা হতো!

এদিকে, তারকা হলেও তো প্রীতির মতো এত সাহস দেখাতে পারেননি অমিতাভ বচ্চন-সালমানরা। সে জবাবও দিয়েছিলেন প্রীতি। তিনি বলেন, ‘সে সময় তো আমার কোনো পিছুটান ছিল না। সংসার শুরু করিনি। বাচ্চাকাচ্চাও নেই। ফলে সাহস জুটেই গিয়েছিল!’

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ
February 2022
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28  


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া