উত্তর কােরিয়ার হাইড্রোজেন বোমার জবাবে সিউলের ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পিয়ংইয়ংয়ের ষষ্ট এবং অত্যাধুনিক পরমাণু পরীক্ষার জবাবে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইয়োনহ্যাপ আজ (সোমবার) এ খবর দিয়েছে।
মহড়ায় হাইওমু দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং এফ-১৫কে জঙ্গিবিমান ব্যবহার করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্র মহড়ায় কম্পিউটারের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্রে কল্পিত হামলা চালানোর অনুশীলন করা হয়।
গতকাল উত্তর কোরিয়া ক্ষুদ্রাকৃতির হাইড্রোজেন বোমার পরীক্ষা চালানোর ঘোষণা দেয়ার পর এ মহড়া চালানো হলো। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনই ছিল মহড়ার উদ্দেশ্য।
পিয়ংইয়ংয়ের ভাষ্য, এই হাইড্রোজেন বোমা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে যুক্ত করার যোগ্য। এর নিন্দা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও রাশিয়া।
কেসিএনএর খবরে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র গবেষণা ইন্সটিটিউট অত্যাধুনিক এ বোমা তৈরি করেছে। আর এর মাধ্যমে দেশটির পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আভাষ দেয়া হলো বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়। ইন্সটিটিউট ঘুরে দেখার সময়ে নতুন অস্ত্র পরিদর্শন করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন।
পিয়ংইয়ংয়ের তৈরি প্রথম হাইড্রোজেন বোমার সফল পরীক্ষার ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা এটির উন্নয়ন করেছেন বলেও জানান হয়। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র তৈরির কৌশলগত পরিকল্পনা অনুযায়ী করা হয়েছে এটি। লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ভিত্তিতে এ হাইড্রোজেন বোমার ক্ষমতা শত শত থেকে হাজার হাজার কিলোটন পর্যন্ত নির্ধারণ করা যাবে। উত্তর কোরিয়া শতভাগ নিজস্ব প্রযুক্তিতে এ বোমা তৈরি করেছে বলে খবরে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া আরও জানান হয় নতুন তাপপরমাণু অস্ত্রের অতিমাত্রায় বিস্ফোরক ক্ষমতা রয়েছে।
গত জুলাইয়ে দুই দফা আইসিবিএম পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার পাল্লার এ আইসিবিএম দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে একাধিক লক্ষ্যে আঘাত হানা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।