adv
২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেখ কামালকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আবেগঘন স্মৃতিচারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: শনিবার সকালে নগরীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরষ্কার বিরতণী অনুষ্ঠানে ছোট ভাই শেখ কামালকে নিয়ে আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেন।

বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের সাংগঠনিক দক্ষতা, দায়িত্বশীলতা ও বহুমুখী প্রতিভার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শেখ কামাল আজ বেঁচে থাকলে খেলাধুলার আরো উন্নত হতো।

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালরাতে বিপদগামী কিছু সেনা কর্মকর্তার নির্মম বুলেটের আঘাতে জাতির পিতা, বঙ্গমাতা, শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেলসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হারানোর স্মৃতিরোমন্থনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মাসটা (আগস্ট) আমাদের শোকের মাস। এই মাসে কামালের জন্মদিন। কামাল আমার ছোট, আমরা পিঠাপিঠি দুই ভাই-বোন। খেলার সাথি, আন্দোলন-সংগ্রামেও একসঙ্গে ছিলাম। আমার, আমাদের পরিবার এবং সমগ্র জাতির জন্য আগস্ট অত্যন্ত কষ্টের, অত্যন্ত বেদনার মাস।

তার ব্যক্তিত্ব ছিল অসাধারণ। সে অত্যন্ত বিনয়ী, নির্লোভ, নিরহংকার ও সদালাপী ছিল’ উল্লেখ করে বড়বোন শেখ হাসিনা শেখ কামালের সাদাসিদে জীবন যাপন সম্পর্কে বলেন, প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির সন্তান হিসেবে সে কখনোই পরিচয় দিত না।

শেখ হাসিনা বলেন, শেখ কামালের সাংগঠনিক দক্ষতা ছিল প্রবল। কিন্তু কখনো কোন নেতা হবার চেষ্টা বা কোন পদে যাওয়ার চেষ্টা করেন নি। ব্যবসা-বাণিজ্য করে পয়সা বানানোর চিন্তা কখনো তার মাথায় ছিল না। বরং এ ব্যাপারে সে অত্যন্ত সতর্ক ছিল।

তিনি বলেন, পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে সে অনেক দায়িত্বশীল ছিল। কারণ, আমার আব্বা তো বেশির ভাগ সময় ছিলেন জেল খানায়। সেই ছোট্ট বয়স থেকে মায়ের পাশে থেকে সংসারের কাজে কামাল সব সময় পাশে থাকতো। তার মধ্যে দায়িত্ববোধ ছোট্ট বেলা থেকে গড়ে উঠেছিল।

শেখ কামাল পড়াশোনাও মনোযোগী ছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সে পড়াশোনার দিকেও অত্যন্ত মনোনিবেশ করতো। আমাদের বাসায়তো সব সময় লোকজন ভরা থাকতো, তারপরও তার পড়াশোনা সে চালিয়ে গেছে।

খেলাধুলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ আজকে এগিয়ে যাচ্ছে, ক্রীড়াঙ্গন থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট অগ্রগামী।

তিনি বলেন, আজকে খেলাধুলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। যার ভিত্তিটা তৈরি করে দিয়ে গিয়েছিল শেখ কামাল। এতে কোন সন্দেহ নাই। তার যে বহুমুখী প্রতিভা, এই বহুমুখী প্রতিভাটা বিকশিত হওয়ার আগেই চলে গেল এই পৃথিবী থেকে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, ব্যাডমিন্টন’র মতো বিভিন্ন খেলার সঙ্গে জড়িত থাকায় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামালের অবদান জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।
তিনি বলেন, শেখ কামাল আবাহনী লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করে দেশের ফুটবল খেলার উৎকর্ষ সাধনে বিশেষ অবদান রেখেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলার পাশাপাশি শেখ কামাল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শেখ কামাল ‘স্পন্দন’ শিল্পি গোষ্ঠী গঠন করেন। তিনি আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন লোকজনকে তুলে আনার ও জনপ্রিয় করার প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। সেখানে ধ্রুব সংগীতের পাশাপাশি আধুনিক পশ্চিমা ধারার পপসংগীতও চালু করেছিল কামাল।

অভিনয়ে শেখ কামালের দক্ষতার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কামাল নাটকেও ভালো অভিনয় করতেন। বিখ্যাত নাট্যদল ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিল সে।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া