স্যাটেলাইট আমাদের আনন্দের খবর – এই প্রকল্পে কত অর্থ অপচয় এবং দুর্নীতি হয়েছে জানতে চাই: মওদুদ
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘সরকার মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে এটা আমাদের সকলের জন্য একটা গৌরবের বিষয়। আমাদের দেশের একটা স্যাটেলাইট মহাকাশে পরিভ্রমণ করবে। কিন্তু আমরা জানতে চাই এই প্রকল্পে কত অর্থ অপচয় হয়েছে এবং কত অর্থ দুর্নীতি হয়েছে? এটা বাংলাদেশের মানুষ জানার অধিকার রাখে।’
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে কনফারেন্স লাউঞ্জে শফিউল বারী বাবু মুক্তি পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের দাবি সরকারের কাছে যে এই প্রকল্পে কত টাকা খরচ হয়েছে এবং কিভাবে খরচ হয়েছে, কাদের মাধ্যমে খরচ, কাদেরকে চুক্তি দেওয়া হয়েছিল এবং কত টাকার চুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তা পরিপূর্ণভাবে মনিটরিং করার জন্য যা প্রয়োজন, তথ্য প্রদান করার যে প্রয়োজন তা হয়েছে কিনা বাংলাদেশের মানুষ তা জানতে চায়।
খুলনা সিটি নির্বাচন নিয়ে মওদুদ আহমেদ বলেন, গাজীপুর থেকে খুলনায় আরো বেশি জনজোয়ার উঠেছে। যদি কারচুপি, কেন্দ্র দখল না হয় তবে নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। খুলনায় যদি কোন রকমে কেন্দ্র দখল হয় এবং ভোট চুরি করে ভোট ডাকাতি করে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয় তবে আমরা সেই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করবো এবং নির্বাচনের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলন করব।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন সরকারের টার্গেটে রয়েছে, তাই ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাদা পোশাকে এজেন্টদের পাঠানো হয়েছে। সরকারি কিছু কর্মকর্তাদের কেন্দ্র দখল করে ভুয়া ব্যালটে বাক্স ভর্তি, কারচুপি, কেন্দ্র দখল করা, এজেন্টদের কেন্দ্রে না আসতে দেওয়া সহ বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদেরকে বাড়িতে থাকতে না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। সরকারের ইচ্ছায় জোরপূর্বক খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়লাভ দেখাতে বলা হয়েছে। দেশের মানুষ অন্ধ নয় দেশের মানুষ চোখে দেখে কানেও শোনে।
‘খুলনার জনগণ এবং মহানগরের জনগণ যারা এখানকার ভোটার তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। আমরা আশা করব খুলনায় যেতে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় এবং নির্বাচনে যেন কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না হয় দেশের জনগণ এবং খুলনার জনগণ যেভাবে ভোট দিতে চায় সেভাবে ভোট দিতে পারে আমাদের নজরুল ইসলাম মঞ্জু বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে।’
তিনি আরো বলেন, সরকার মুখে যখন তারা গণতন্ত্রের কথা বলে, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আইনের শাসনের কথা বলে মনে রাখবেন তারা আইনে বিশ্বাস করে না। তারা যখন বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বলে মনে রাখবেন তারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা বিশ্বাস করে না। কারণ আওয়ামী লীগ কথা ও কাজে এক নয়।