দেড় বছরে কোচ জিদানের আয় ১০৯ মিলিয়ন ইউরো!
স্পাের্টস ডেস্ক : ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে তারকা ফুটবলাররা যত টাকা আয় করেন, সেই তুলনায় কোচদের আয় অনেক কম। কিন্তু জিনেদিন জিদানের ক্ষেত্রে ঘটনা ঠিক উল্টো। ৪৫ বছর বয়সী এই ফরাসি খেলোয়াড় হিসেবে যত টাকা আয় করতেন, সেই তুলনায় কোচ হিসেবে আয় তার চেয়েও অনেক অনেক বেশী! এটুকু শুনেই যদি বিস্মিত হয়ে থাকেন, তাহলে কোচ হিসেবে জিদানের আয়ের অঙ্কটা শুনতে আপনার চোখ কপালে উঠবে! রিয়াল মাদ্রিদের প্রধান কোচ হিসেবে প্রথম ১৮ মাসেই জিদানের আয় ১০৯.৪ মিলিয়ন ইউরো। বাংলাদেশী মুদ্রায় ১০৬০ কোটি ৫০ লাখ ২৩ হাজার ২১৭ টাকা মাত্র!
অথচ ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে থাকা অবস্থায় এই রিয়ালের হয়েই পাঁচ বছরে জিদানের আয় ছিল মাত্র ৭৫ মিলিয়ন ইউরো! ২০০১ সালে তৎকালীন ট্রান্সফার ফির নতুন রেকর্ড গড়ে জিদানকে দলে ভিড়িয়েছিল রিয়াল। জিদানের সঙ্গে ৫ বছরের চুক্তি করতে রিয়ালকে ঢালতে হয়েছিল ৭৫ মিলিয়ন ইউরো। অথচ কোচ জিদানের পেছনে মাত্র ১৮ মাসেই সেই রিয়ালকে ঢালতে হলো ১০৯.৪ মিলিয়ন ইউরো।
তবে মজার ব্যাপার হলো, কোচ জিদানের পেছনে ক্লাব রিয়ালকে নিজেদের তহবিল থেকে এক টাকাও খরচ করতে হয়নি! উল্টো কোচ জিদানের হাত ধরে রিয়ালের তহবিল আরও ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। ব্যাপারটা একটু বুঝিয়েই বলা যাক। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম ২০ মাসেই জিদান রিয়ালকে উপহার দিয়েছেন ৭টি শিরোপা! যার মধ্যে রয়েছে দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও দুটি উয়েফা সুপার কাপ শিরোপা। আছে একটি করে লিগ, বিশ্ব ক্লাব বিশ্বকাপ এবং স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপাও।
এই ৭টি শিরোপা জয়ের মধ্যদিয়ে রিয়ালের তহবিলে যোগ হয়েছে বিশাল অঙ্কের টাকা। যার বেশীর ভাগই এসেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও উয়েফা সুপার কাপ জয়ের মধ্যদিয়ে। শিরোপা-সাফল্যের সুবাদে প্রাপ্ত প্রাইজমানির সেই টাকা থেকে কোচ জিদানের পারিশ্রমিক প্রতিশোধ করার পরও রিয়াল গুণতে পারছে বিশাল লাভের অঙ্ক!
সম্প্রতি রিয়ালের সঙ্গে নতুন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন জিদান। নতুন চুক্তিতে তার বেতন দ্বিগুণ করা হয়েছে। আগামীতে কোচ জিদানের আয়ের অঙ্কটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে, কল্পনা করতে পারছেন!