রাষ্ট্রীয় অংশীদারিত্ব চায় আড়াই কোটি সংখ্যালঘু – অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত
ডেস্ক রিপাের্ট : বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, দেশের আড়াই কোটি সংখ্যালঘু মানুষ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদারিত্ব চায়। জাতীয় সংসদের ৬০টি আসন সংখ্যালঘুদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে শহীদ হাদিসপার্কে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নগর ও জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
রানা দাস বলেন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে ৭২ জন প্রতিনিধি ছিল। এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংসদ সদস্য ১৭জন। আযম খানের আমলে চারজন মন্ত্রী ছিল। এখন মন্ত্রী দু’জন। সংখ্যালঘুদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে ১৯৭২ সালের সংবিধান পূণপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৬৫ জন জামায়াতপন্থী ইউপি নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছে। আমার ধিক্কার জানাই। আওয়ামী লীগে আগাছা প্রবেশ বন্ধ করতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ২০০১-৬ সালে সংখ্যালঘু নির্যাতনের সাহাবুদ্দিন কমিশনের সুপারিশ আওয়ামী লীগ সরকার বাস্তবায়ন করতে পারছে না। রামুদিয়া, নাছিরনগর ও নারায়নগঞ্জে সংখ্যালঘূদের নির্যাতনের বিচার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের বাড়ি দখল ও নির্যাতনকারীদের মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য প্রধান দু’টি রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হলো কিন্তু সংখ্যালঘুদের নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। ২০১২ থেকে আজ পর্যন্ত উপাসনালয়ে হামলা, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। সরকারি দলের এমপি, মন্ত্রী সংখ্যালঘুদের ঘর দখল করেছে। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি হলেও ১৫ বছরে তা বাস্তবায়িত হয়নি। হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইনকে এগিয়ে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলা সোয়া ১২টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এক্য পরিষদের খুলনা মহানগর সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ ঘোষ। স্বাগত বক্তৃতা করেন এক্য পরিষদের জেলা সভাপতি বিমান বিহারী রায় অমিত।
সম্মেলনে সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস বলেন, বিএনপি জামায়াতের শাসনামলে মন্দির ভাঙা হয়েছে। আমরা সব সময় এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি। এ সরকার সকল ধর্মের অধিকার দিতে সচেষ্ট হয়েছে।