প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটির মামলায় ১২ জানুয়ারি পুলিশ প্রতিবেদন
ডেস্ক রিপাের্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় করা মামলায় পুলিশকে আগামী ১২ জানুয়ারি প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত। ২১ ডিসেম্বর বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এইদিন ঠিক করেন।
মঙ্গলবার রাতে দণ্ডবিধির ১০৯/১১৮/১২০ (খ)/২৮৭ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় এই মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ডসিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন এবং টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।
গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে (বোয়িং-সেভেন সেভেন সেভেন) যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানে জরুরি অবতরণ করে। পরে সেখানে মেরামত করে চার ঘণ্টা পর বিমানটি তুর্কমেনিস্তানের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
এই ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। তিনটি কমিটির প্রতিবেদনেই প্রমাণ হয়েছে মানবিক ভুলে বিমানে এই ত্রুটি দেখা দেয়। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বিমানের তেলের স্ক্রু ঢিলা থাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
দুর্ঘটনার তিন দিন পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিমানে ত্রুটির ঘটনাটিকে নিছক ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলেছিলেন। পরে অবশ্য সংসদকে তিনি বলেছেন, মনে হচ্ছে এটি মনুষ্যসৃষ্ট হত্যা চেষ্টা বলেই মনে হচ্ছে তার কাছে।
এই ঘটনায় তিন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিমানের নয় জন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। আর বিমান মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনাটি নাশকতা কি না তা যাচাইয়ের পাশাপাশি মামলার সুপারিশ করা হয়। এই সুপারিশ পাওয়ার পর বিমানমন্ত্রী মেনন বলেন, কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হবে।
এদিকে পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটির ঘটনাটি নাশকতা কি না-এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়া হবে। একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি বলেছি মামলাটি তদন্ত করবে গোয়েন্দারা। তাদের (আসামিদের) কোনো ক্রিমিনাল ইনটেনশন ছিল কি না সেটা তদন্তেই বের হয়ে আসবে।’