আরাে চাপে বাংলাদেশ- বিদায় সাকিব ও নাসির
ক্রীড়া প্রতিবেদক : জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত। রোমাঞ্চ ছড়ানোর এমন ম্যাচের আগে আলোচনায় ছিল বৃষ্টি-বিভ্রাট। কিন্তু সব শঙ্কাকে পেছনে ফেলে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আকাশও ক্রিকেটের জয়গান দেখতে প্রস্তুত হয়েছে। তাইতো নির্ধারিত সময়েই মাঠে গড়িয়েছে বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি। তাতে ৮০ রানের জুটি গড়ে ভালো শুরুই করেছিলেন দুই উদ্বোধনী ইমরুল-তামিম। তবে দুজনেই ফিফটির আগে সাজঘরে ফিরেছেন।
বুধবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ। উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহিম ৩৬ ও মোসাদ্দেক হোসেন ১৮ রানে।
এদিন ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে স্টোকসের বলে লেগ সাইডে খেলতে যেয়ে ক্যাচ দিয়েছেন ইমরুল কায়েস। ৪ চার ও ১ ছয়ে ৫৮ বলে ৪৬ রানে সাজঘরে ফিরেছেন এই বাঁহাতি। তার আগে তামিমকে নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী জুটি গড়েছেন ইমরুল। বুধবারের ৮০ রানের জুটিটির আগে ইংলিশদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি ছিল ৬৩ রানের। ২০১০ সালে সেই জুটিটিও ছিল ইমরুল-তামিমেরই।
পরে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ হাজার ওয়ানডে রানের মাইলফলক ছোঁয়া তামিম ইকবাল ফিরেছেন ৪৫ রানে। রশিদের বলে ভিন্সের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে নিজের ইনিংসটি ৫ চারে ৬৮ বলে সাজিয়েছেন তিনি।
আর রশিদের বলেই বেয়ারস্টোকে ক্যাচ দিয়ে দ্রুত তাকে অনুসরণ করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৬)। মুশফিকের সঙ্গে ৫৪ রানের জুটি গড়ে ফিফটি থেকে এক রান দূরে ফিরে গেছেন সাব্বির রহমান। ৪৯ রানের ইনিংসটি ৫ চারে ৪৬ বলে খেলেছেন এই ডানহাতি। পরে মঈনের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান (৪)। দ্রুত তার পথে হেঁটেছেন নাসির হোসেন (৪)।
এর আগে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। তাতে গত ম্যাচের জয়ী একাদশ নিয়েই মাঠে নেমেছে স্বাগতিকরা। আর সফরকারীরা একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে। আনফিট জেসন রয়ের পরিবর্তে খেলছেন স্যাম বিলিংস। আর পেসার ডেভিড উইলির জায়গায় ফিট হয়ে একাদশে ফিরেছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট।
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে জয়ের খুব কাছে গিয়েও ২১ রানের হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। তবে পরে ম্যাচে ৩৪ রানের জয় দিয়ে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় মাশরাফি-সাকিবরা।