adv
৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির ভিডিও কনফারেন্স

3d7e43ed87e6ffcfc46918250faf97db-56e0f207dbb86ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্স করবেন আজ ২৩ মার্চ বুধবার। প্রায় বিশ মিনিটের এ কনফারেন্সে তারা দুই দেশের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরায় ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ রফতানি এবং ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশের কুমিল্লায় বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। বিদ্যুত ও ইন্টারনেট আমদানি-রফতানির গেটওয়ে হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত অঞ্চলে।
বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ২২ মার্চ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২৩ মার্চ বুধবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানি-রফতানির উদ্বোধন করবেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার এ সময় নরেন্দ্র মোদির পাশে থাকতে পারেন।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনোয়ার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ রফতানি-আমদানি কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। এই কনফারেন্সিং সম্পর্কে মঙ্গলবার সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সচিব উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া, বিদ্যুত ও টেলিযোগাযোগ দুই  প্রতিমন্ত্রীও উপস্থিত থাকতে পারেন।

বিদ্যুত মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার ভারতের ত্রিপুরা থেকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানি শুরু হবে। এই বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম পড়বে ৬ টাকা ৪৩ পয়সা (ভারতীয় মুদ্রায় সাড়ে পাঁচ রুপি)।

ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতী জেলার পালাটানায় স্থাপিত ৭২৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র থেকে আখাউড়া সীমান্ত হয়ে আন্তঃদেশীয় গ্রিডলাইনের মাধ্যমে এই বিদ্যুত বাংলাদেশে আসবে। এ জন্য পালাটানা থেকে ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন করেছে ভারত। সীমান্ত থেকে কুমিল্লা সদরের দক্ষিণ সাবস্টেশন পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন করেছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। আমদানি করা এ বিদ্যুৎ কুমিল্লা অঞ্চলে ব্যবহার করা হবে।

জানা গেছে, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা দিয়ে ২০১৩ সালের ৫ অক্টোবর ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী, ত্রিপুরা থেকে বিদ্যুৎ পেলে বাংলাদেশ এর মূল্য পরিশোধ করবে। এর বাইরে আর কোনও চার্জ থাকছে না। তবে, ভেড়ামারা দিয়ে ভারত থেকে বর্তমানে যে বিদ্যুৎ আমদানি হয়, ওই আমদানি চুক্তি অনুযায়ী বিদ্যুৎ না কিনলেও বাংলাদেশকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়। ত্রিপুরার বিদ্যুতের বেলায় এই ক্যাপাসিটি চার্জ থাকবে না। ভেড়ামারা দিয়ে আসা বিদ্যুতের প্রথম ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটপ্রতি ২.৫০ টাকা এবং বাকি ২৫০ মেগাওয়াট ইউনিটপ্রতি ৪.৫০ টাকা দরে কেনা হচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুত উতপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৩ হাজার মেগাওয়াট। জ্বালানি তেল দিয়ে বিদ্যুত উতপাদনে প্রতি ইউনিটে খরচ পড়ে প্রায় ১৭ টাকা। আর গ্যাস দিয়ে বিদ্যুত উতপাদনে খরচ পড়ে প্রায় দুই টাকা।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, ব্যান্ডউইথ রফতানি বাবদ বাংলাদেশ পাবে বছরে এক দশমিক দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা)। চুক্তি অনুসারে, ভারতের চাহিদা অনুযায়ী ব্যান্ডউইথ রফতানির পরিমাণ সর্বোচ্চ ৪০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) পর্যন্ত করা যাবে। আখাউড়া সীমান্ত হয়ে এ ব্যান্ডউইথ যাবে ত্রিপুরা ও প্রতিবেশী রাজ্যে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী, ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে আখাউড়া সীমান্ত ব্যান্ডউইথ পৌঁছে দেওয়া হবে। এরপর ভারতের ত্রিপুরার আগরতলা দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যাবে এ ব্যান্ডউইথ।

বর্তমানে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৪) বাংলাদেশ পাচ্ছে ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ। এখান থেকে ৩০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয়।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া