‘জেএমবির টার্গেট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য’
ডেস্ক রিপোর্ট : নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিনের (জেএমবি) টার্গেটে রয়েছে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এমন দাবি করেছে পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (ডিবি)। এ ছাড়া পীর, ফকিরদেরও টার্গেট করেছে এ সংগঠনের সদস্যরা।
রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে শনিবার রাতে জেএমবির একটি গ্রুপের কারিগরি সহায়তা প্রদানকারী সদস্য এ এইচ এম খায়রুল আসাদ ওরফে সোহাগ, সাবেক শূরা সদস্য মীর মোয়াজ্জেম হোসেন সাইফী ওরফে জার্মিন ও মো. কফিল উদ্দিন বিন আমিনকে গ্রেফতারের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম এ দাবি করেন।
রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে রবিবার বিকেলে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ডিবি।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম-কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারদের কাছ থেকে একটি মোবাইল জ্যামার, বিপুল পরিমাণ উগ্র ধর্মীয় মতামত সংক্রান্ত বই, ট্রেনিং ম্যানুয়াল ও টার্গেট লিস্ট উদ্ধার করা হয়। মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যাম করে রাখার যন্ত্র বসিয়ে বৈঠক করত জেএমবির গ্রেফতার সদস্যরা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ এড়াতেই এ কৌশল অবলম্বন করত তারা।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, সোহাগ একটি বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিতে কর্মরত। সাইফী উগ্র ধর্মীয় মতামত সংক্রান্ত ভাষণের মাধ্যমে জেএমবির প্রতি তরুণদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করত এবং আসাদ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তারা চাকরি করত। চাকরির টাকা তারা এ ধরনের তৎপরতায় ব্যয় করত।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিবির উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার মাশরেকুর রহমান খালেদ, পূর্ব বিভাগের উপ-কমিশনার মো. মাহবুবুল আলম, পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার মো. সাজ্জাদুর রহমান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম।