আজ প্রেসক্লাবে মাহমুদুর রহমান মান্নার সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘শান্তি ও সংলাপ’-এর দাবিতে নাগরিক ঐক্যের পূর্বঘোষিত গণমিছিল কর্মসূচি হঠাত স্থগিত’ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশও করেছেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গণমিছিলের কর্মসূচি থেকে সরে আসেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে নিজের ফোনালাপের বিষয়টি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন। এছাড়া সোমবার তিনি নিজের দুটি ফোনালাপের বক্তব্য বিকৃত করার অভিযোগ এনেছেন। তবে ফোনালাপ ফাঁস, গণমিছিল স্থগিতসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে মোবাইল এবং বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেও মাহমুদুর রহমান মান্নার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
গত রোববার নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার ফোনালাপের অডিও গণমাধ্যমে ফাঁস হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটির পূর্বনির্ধারিত গণমিছিল হবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তবে পুলিশ তাদের গণমিছিল করার অনুমতি দিয়েছিল, কোনো বাধা দেয়নি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দুপুরে সমাবেশ থেকে বলা হয়, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন গণমিছিলে নেতৃত্ব দেবেন এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু দুজনের কেউই শেষ পর্যন্ত আসেননি। এ সময় স্থগিত করা হয় ‘কামাল-মান্না’র গণমিছিল। নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, অসু¯’তার কারণে মান্না উপ¯ি’ত হতে পারেননি।
অপর প্রশ্নের জবাবে ছাত্রনেতা নাজমুল বলেন, ফোনালাপের বিষয়টি তাঁরা শুনেছেন। তবে এ কারণে উনি (মান্না) উপস্থিত হননি, তা সঠিক নয়। ফোনালাপের ইস্যু তৈরি করে তাঁদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে ‘গণমিছিল’ কর্মসূচির নির্ধারিত সময়ের আগে রমনা বিভাগীয় পুলিশের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান জানান, পুলিশ গণমিছিলের অনুমতি দিয়েছিল। এমনকি কোনো বাধা দেয়া হয়নি।
ফোনালাপ বিকৃতির অভিযোগ মান্নার : গণমাধ্যমে প্রকাশিত নিজের দুটি ফোনালাপের বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।
শীর্ষস্থানীয় একটি ওয়েবপোর্টালে ফোনালাপ নিয়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে লাশ চান মান্না এবং জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী মান্না’ শীর্ষক দুটি অডিও রেকর্ডের প্রতিক্রিয়ায় নিজের ফেসবুক আইডিতে এ অভিযোগ করেন তিনি। লিখেছেন, ‘সামগ্রিক ঘটনায় আমি বিস্মিত, দুঃখিত, মর্মাহত। পাঠকদের অনুরোধ করব ভালো করে সেটা শোনা এবং পড়ে দেখতে। কোথাও কোনো ষড়যন্ত্রের গন্ধ নেই, উসকানি নেই।’ তিনি লিখেছেন, গণতন্ত্রের দাবিতে আমি আন্দোলনে সমর্থন করি। সহিংসতা সমর্থন করি না। এ থেকে বেরিয়ে আসতে ব্যাপক জনগণকে সম্পৃক্ত করা উচিত। সহিংসতা দায়িত্ব নিয়ে বর্জন করা উচিত। এ আন্দোলনে এখনো ছাত্ররা অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত ও বিস্তৃত করতে হবে। এটা করতে গিয়ে পুলিশ বা সন্ত্রাসী হামলায় দু-চারজনের জীবনও যায় কিছু করার নেই।