adv
২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে কাঁপছে দেশ

Rangpur+cold+(8)ডেস্ক রিপোর্ট : শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কাঁপছে গোটা দেশ। বিশেষ করে প্রচণ্ড শীতে উত্তরের জেলাগুলোর মানুষের যাতায়তেও অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। রাজশাহীতে মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারাদেশের মধ্যে এটাই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। চলতি মৌসুমেও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি।
উত্তরাঞ্চলে সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কমতে থাকায় দ্বিগুণ শীত অনুভূত হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মতামত দিয়েছেন। তারা বলছেন, তাপমাত্রার হেরফের এবং শৈত্যপ্রবাহের কারণে প্রচণ্ড শীত অনুভূত হচ্ছে।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল আলম জানান, গত ১৭ জানুয়ারি রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ১৮ জানুয়ারি ছিল সর্বোচ্চ ১৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি। ১৯ জানুয়ারি সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে আসে ৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা রাজশাহীসহ সারাদেশে চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

তিনি আরও জানান, সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঠান্ডা বাতাস ও মৃদু শৈত্যপ্রবাহ (৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। চলতি মাসের শেষ দিকে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত রাজশাহী অঞ্চলে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। বয়ে যেতে পারে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।

আবহাওয়া অফিস রাজশাহী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে আগামি ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

শীতবস্ত্রের অভাবে খুব কষ্টের মধ্যে আছেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে চরাঞ্চলের মানুষ আছেন সীমাহীন কষ্টের মধ্যে। তবে আশার কথা হলো তাদের কষ্ট লাঘবে রাজশাহী বিভাগ এবং জেলা প্রশাসন বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচণ্ড শীতের কারণে দিনমজুর শ্রেণির সাধারণ মানুষের চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। শীতের সঙ্গে টানা অবরোধে নিম্ন আয়ের কয়েক লাখ মানুষ এখন সম্পূর্ণ বেকার। একদিকে প্রচণ্ড শীত, অপর দিকে অবরোধে এসব মানুষের কষ্টের শেষ নেই। দেখারও নেই কেউ।
ঠান্ডাজনিত কারণে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। তাই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে তাই বাড়ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা। আক্রান্তদের বেশিরভাগই হƒদরোগ, ডাইরিয়া, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও অ্যাজমাসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন।

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া