বুধবার আশুলিয়ার সব কারখানা বন্ধ
ঢাকা: বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বুধবার আশুলিয়ার সব কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার আশুলিয়া এলাকায় শ্রম-পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিজিএমইএ এই সিদ্ধান্ত নেয়। সাভারের আশুলিয়া এলাকায় সর্বমোট ২৫৭টি কারখানা রয়েছে।
বুধবার এসব কারখানা বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ এর সহ সভাপতি মো: শহীদুল্লাহ আজীম।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) সারাদিনই শ্রমিকরা আশুলিয়া এলাকায় নানা কারখানা ভাঙচুর ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে। মালিকদের অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। আর তাই আশুলিয়া এলাকার সব কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এসব কারখানা কবে নাগাদ খোলা হবে জানাতে চাইলে তিনি বলেন, আমরাতো আর ইচ্ছা করে কারখানা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিই নি। পরিস্থিতি ও সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই উদ্যোক্তারা এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন।
বুধবার আশুলিয়ার মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ এর নেতা।
মঙ্গলবার বিজিএমইএ ও আশুলিয়ার মালিকপক্ষের মধ্যে এক বৈঠক হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) এর সভাপতি ও বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী।
৪ নভেম্বর মজুরি বোর্ডে ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা খসড়া অনুমোদনের পর ৫ নভেম্বর বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ থেকে সংবাদ সম্মেলনে করে ঘোষণা দেয়া হয়, ন্যূনতম মজুরি সাড়ে চার হাজার টাকার বেশি ধার্য করা হলে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দেশের সব পোশাক শিল্প কারখানা বন্ধ করে দেয়া হবে।
এরপর থেকেই রাজধানী ও তার আশেপাশের এলাকার পোশাক শিল্প কারখানাগুলোতে শুরু হয় বিক্ষোভ। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল থেকে আশুলিয়া পোশাকশিল্প এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ শুরু হয়।