গা ঢাকা দিলেন বিএনপির ১০ নেতা
মাহমুদা ডলি: ৫ জানুয়ারি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ঘর-বাড়ি ছেড়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে পালিয়েছেন বিএনপির ১০ নেতা। গ্রেপ্তারের ভয়ে নয় আন্দোলনে নামতে হবে জেনেই তারা পালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর মাত্র এক দিন বাকি থাকলেও কর্মসুচির ধরন, কে বা কারা নেতৃত্বে থাকবে এ নিয়ে অন্ধকারে তৃনমূল নেতাকর্মীরা। নেতাদের বাসাবাড়িতে কিংবা ফোনেও যোগাযোগ করতে না পারায় তারা দিশেহারা।
পুলিশ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালালেও রাজধানীতে এখনো এ ধরনের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র। ডিএমপির মিডিয়া সেন্টার জানিয়েছে অভিযান চালানোর মতো কোন তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে ফৌজদারী কোন অপরাধের অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আব্দুস সালাম বলেছেন, নেতারা ঘরে থাকবেন কিভাবে। পুলিশ বাসায় বাসায় তল্লাশী চালাচ্ছে। সন্ধ্যায় আমার বাসনায় তল্লাশী চালিয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান এবং সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানকে শহীদ জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আর সাক্ষাত করতে পারেননি কেউ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ মহানগর কয়েকজন ছাত্রদল নেতা জানান কনফিডেনসিয়াল কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তারা প্রকাশ্যে থাকলে সংবাদ লিক আউট হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়েই তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। এমনকি তাদের দুজনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বকশী বাজারের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই একই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল কারাগারে রয়েছেন। মিডিয়ার সামনে উপস্থিত নেই ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব কয়েক বছর ধরে আত্মগোপনে রয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিবুন নবী খান সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সফুকে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে বাসায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । এমনকি তার ফোন নম্বরও বন্ধ রয়েছে। বেশ কয়েকবার চেষ্টা করলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সংসদীয় এলাকা, থানা এবং ওর্য়াড পর্যায়েরও অনেক নেতা পলাতক রয়েছেন। তৃনমূল নেতারা বলেছেন, কিভাবে আন্দোলন হবে, কে বা কারা থাকবে এ ধরনের কোন নির্দেশনা তারা পাচ্ছেন না। উল্লেখ্য এমপি ছবি বিশ্বাসের গাড়ির ওপর হামলার ঘটনার পর থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা গা ঢাকা দিয়েছেন।