অবুঝ শিশুর প্রশ্ন- মায়ের লাশ নিয়া যাব কোথায়?
ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে ট্রলিতে ৪০ বছর বয়সী এক নারীর লাশ। মর্গের কলাপসিবল ফটকের পাশে মেঝেতে বসে ওই নারীর দিকে তাকিয়ে অঝোরে কাঁদছে ১০ বছরের এক শিশু। কাঁদছে আর বলছে, ‘মায়ের লাশ নিয়ে আমি যাব কোথায়?’
ওই নারীর নাম রাজিয়া বেগম। মিরপুরে ফুটপাতে পিঠা আর রুটি বিক্রি করতেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরপুর এলাকায় যাত্রীবাহী মিনিবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালকের সহায়তায় ওই নারীর ১০ বছরের মেয়ে বীথি অচেতন অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ নিয়ে যাওয়া হয় জরুরি বিভাগের মর্গে।
মায়ের লাশের দিকে তাকিয়ে কাঁদতে থাকে বীথি। সে বলে, ‘মা ছাড়া আমার কেউ নাই। মায়ের লাশ নিয়া কোথায় যামু? কোথায় কবর দিমু।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মিরপুরের জনতা হাউজিং বস্তির শাহ আলীবাগ এলাকায় বীথিকে নিয়ে থাকতেন রাজিয়া। সেখানের রাস্তার পাশে পিঠা ও রুটি বিক্রি করতেন তিনি।
বীথি জানায়, আজ সে ও তার মা রাজিয়া র“টি বিক্রি করছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মা রাজিয়া তাকে রেখে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য সড়ক পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটে। বিথী আরও জানায়, তার সত বাবা আছে। তবে তাদের কোনো খোঁজখবর রাখেন না।
রাত ১০টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জরুরি বিভাগের মর্গে মায়ের লাশের পাশেই ছিল শিশু বীথি। ওই সময় পর্যন্ত তাদের কোনো স্বজনের দেখা মেলেনি। বারবার হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশ বীথিকে ডাকলেও ‘মাকে ছাড়া কোথাও যামু না’ বলে সে শুধু কেঁদেই চলছিল।
জানতে চাইলে মিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান বলেন, ‘মিনিবাসটিকে আটক করা যায়নি। হাসপাতালে যাচ্ছি। প্র. আ.