আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাকসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি হচ্ছে অবাধে
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অবাধে বিক্রি হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাকসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। এতে এসব পোশাকের অপব্যবহারের পাশাপাশি দেশে হত্যা, খুন ও অপহরণসহ বাড়ছে নানা অপরাধ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এসব পোশাক বিক্রির জন্য সারাদেশে অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৫৩টি। এ অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
শার্ট প্যান্ট ছাড়াও পিস্তলের কাভার, র্যাংকব্যাজ, নেমপ্লেট, বুট ও হ্যালমেটসহ সবই পাওয়া যাচ্ছে রাজনাধানীর বিভিন্ন মার্কেটে। পুলিশের কনস্টেবল থেকে শুরু করে যেনতেন পরিচয়ে সাদা পোশাকের লোকের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে এসব পোশাক।
বিক্রেতারা বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় খোলা বাজারে এসব পোশাক বিক্রি হচ্ছে। যার কারণে যে কেউ এসে নিয়ে যাচ্ছে। কার্ড দেখালেও বুঝার উপায় নেই। এসব দোকানগুলোতে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তারা। বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক ব্যবহার করে ভুয়া পরিচয়ে নানা অপরাধ সংগঠিত হওয়ার বিষয়ে তাৎক্ষনিক পদক্ষেপের পরামর্শ দিলেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
নিরাপত্তা বিশ্লেক ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শুধুমাত্র অনুমোদিত দোকানগুলো থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পোশাক কিনতে পারবে। এজন্য সরকারকে এসব বিষয়ের উপর নজরদারি দিতে হবে। আর অবশ্যই সেখানে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে, নাম, ঠিকানা, কোন বাহিনীর সদস্য, কার্ড নম্বর ইত্যাদি উল্লেখ রাখতে হবে।
অভিযোগ রয়েছে, খোলা বাজারে বিক্রি করা এসব পোশাকসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে নানা অপরাধে জড়িত হচ্ছে অপরাধীরা। তবে সেটা নিয়ন্ত্রণে নজরদারীর অভাব রয়েছে সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও তার কর্তৃপক্ষের।
বাংলাদেশ পুলিশ অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, এ কে এম শহীদুল হক বলেন, বিক্রেতা প্রথমে অবশ্যই নিশ্চিত করবে সে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কিনা। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যর আইডি কার্ড অথবা ব্যক্তিগত পরিচয় জানার পর সেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যর কাছে তা বিক্রি করবে।
তিনি আরও জানান, পুলিশের কনস্টেবল, সাব-ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্টের পোশাক সরকারী ভাবে সরবরাহ করা হয় বলে কেবল ইন্সপেক্টর থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই অনুমোদিত দোকান থেকে পোশাক কিনতে পারবেন। সময় টিভি