adv
২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাত খুনের প্রধান আসামি নূর হোসেন দেশেই আছেন

mvZ Lyb : †`‡kB Av‡Qb b~i †nv‡mb!ডেস্ক রিপোর্ট : ‘নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন দেশ ছেড়ে পালাতে পারেননি। পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। বর্তমানে তিনি দেশেই আছেন।’ এমন তথ্য জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার মহিদ উদ্দিন।
এসপি বলেন, ‘আমরা মনে করি না যে নূর হোসেন দেশ ছেড়ে পালাতে পেরেছেন। আমরা তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। নূর হোসেনকেও শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে’।
পুলিশ নূর হোসেনের অবস্থান সনাক্ত করতে পেরেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে নারায়ণগঞ্জের এই পুলিশ প্রধান বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই সব কিছু বলা যাচ্ছে না।
তবে তিনি দাবি করে বলেন, ‘বিভিন্ন তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পৃথক গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পেঁৗঁছানোর আগে সেগুলো যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
এসময় এসপি আবারো বলেন, তদন্তের স্বার্থে আমরা এখনই সবকিছু বলতে পারছি না। এ ঘটনায় আরো অনেককেই গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রত্যেক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি বলেন, এটি একটি স্পর্শকাতর মামলা। এমন একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের তদন্তের জন্যও পরিকল্পনা দরকার। পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে কিছুটা সময় প্রয়োজন’।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল দুপুর ২টায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে কাউন্সিলর নজরুলকে বহনকারী প্রাইভেটকারটিকে সামনে এবং পেছন থেকে দুটি মাইক্রোবাস ঘিরে ধরে।
পরে নজরুলসহ তার প্রাইভেটকারের চালক জাহাঙ্গীর, বন্ধু তাজুল, স্বপন ও লিটনকে অস্ত্রের মুখে প্রাইভেটকার থেকে নামিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়া হয়। এছাড়াও অপহরণ করা হয় প্রবীণ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার প্রাইভেটকার চালক ইব্রাহিমকে।
অপহরণের চার দিন পর ৩০ এপ্রিল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নজরুল ইসলাম ও চন্দন সরকারসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পর দিন ১ মে নজরুলের গাড়ি চালক জাহাঙ্গীরের লাশও উদ্ধার করা হয় শীতলক্ষ্যা থেকেই।
এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। নিহত নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে র‌্যাবের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে এই অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব কর্মকর্তা ত্রাণমন্ত্রী মায়ার জামাই লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ, মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাদেরকে বর্তমানে ক্যান্টনমেন্টে ‘লগ এরিয়ায়’ অন্তরীণ রাখা হয়েছে।
এছাড়া এ ঘটনায় ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ৪০ জন এসআই এবং ৩৯ জন এএসআইসহ গতকাল বৃহস্পতিবার ৮১ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে একযোগে বদলি করা হয়েছে। ডেইলি স্টার

 

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া