‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল’ বলেও দুদককে পাত্তাই দিলেন না মান্নান
নিজেকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দাবি করা সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) পাত্তাই দিলেন না।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় দুদকে হাজির হওয়ার কথা ছিল মান্নানের। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে আসবেন আসবেন বলেও শেষ পর্যন্ত দুদকে আসেননি তিনি।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তিনি বাংলামেইলের এই প্রতিবেদককে মোবাইল ফোনে জানিয়েছিলেন, বেলা ১১টায় তিনি দুদকে আসবেন। তিনি বলেন, ‘আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
সেই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘আমি আইনের লোক। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো আমার দায়িত্ব।’
কিন্তু বেলা আড়াইটা পর্যন্ত তিনি দুদকে হাজির হননি।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন বাংলামেইলেকে জানান, আবদুল মান্নান খান যে আসবেন না তা আমাকে জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে দুদকের কমিশনার সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাংবাদিকদের জানান, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান দুদককে জানিয়েছেন বেলা ২টার সময় তিনি দুদকে হাজির হবেন।
কিন্তু ২টা পার হওয়ার পরও কেন তিনি আসেননি এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে তিনি দুদকে আসতে পারেননি। এজন্য মান্নান সাহেব দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া তিনি দুদকে হাজির হওয়ার জন্য প্রস্তুত নন।’
আবার ডাকা হবে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সুবিধা মতো সময়ে শিগরিই তাকে ডাকা হবে।’
আবদুল মান্নান দুদককে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে চুপ্পু বলেন, ‘দুদককে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে দুদক তাকে আইনগতভাবে সুযোগ দিয়েছে।’
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন মান্নানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ পাঠান। নোটিশে অ্যাডভোকেট মান্নানকে ২০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।
সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যত অভিযোগ:
মন্ত্রিত্বকালে মান্নানের সম্পত্তি ১০৭ গুণ বেড়েছে। ৫ বছর আগে তার সাকুল্যে ১০ লাখ ৩৩ হাজার টাকার সম্পত্তি ছিল। গত ৫ বছরের ব্যবধানে সেটা হয়েছে ১১ কোটি তিন লাখ টাকা।
আগে তার বার্ষিক আয় ছিল ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। সেই আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে বছরে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকায়।