প্রধানমন্ত্রিত্ব নয় জনগণের সেবা করাই বড় কথা
ঢাকা: প্রধান বিরোধী দলবিহীন দশম জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের মতো শপথ নিলেন শেখ হাসিনা। রোববার বিকেলে বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘শেখ হাসিনা কোনো চাপের কাছে মাথা নত করে না, সেটা জাতীয় বা আন্তর্জাতিক চাপ যা-ই হোক না কেন।’
এসময় তিনি আবারো জনগণের সেবা করার সুযোগ পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী হওয়া বড় কথা নয়। জনগণের জন্য কাজ করাই বড় কথা।’
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সকলেই সমর্থন করবে। আমাদের কূটনৈতিক সাফল্য আছে।’
বিরোধীদলের সদস্যরা মন্ত্রিসভায় থাকায় অভিনব ধরনের মন্ত্রিসভা হলো কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঐকমত্যের সরকার ১৯৯৬ সালে হয়েছিল। আপনারাই সবাইকে নিয়ে চলতে বলেন। আবার সবাইকে নিয়ে চলতে গেলে প্রশ্ন তোলেন।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকার কোনো উদ্যোগ নেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে মামলা চলছে। আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে।’
সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে বিএনপির সমর্থন চাইবেন কি না? এ প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকলের সহযোগিতা চাই।’
তবে আবারো তিনি জনগণের স্বাভাবিক জীবনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী ধ্বংসাত্মক কাজ বন্ধ করতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যে কোনো আলোচনার আগে বিএনপিকে জামায়াতের সঙ্গ ছাড়তে হবে।’
যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে। রায় হবে, তা কার্যকর হবে।’
এছাড়াও, প্রয়োজনে ছিটমহল ও তিস্তার পানিবণ্টনের বিষয় নিয়ে পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই গণতন্ত্রের পথে থাকবেন, এটাই আমাদের আশা। গণতন্ত্র সুরক্ষায় যে পদক্ষেপগ্রহণ করা প্রয়োজন আমরা নিব। আমরা চাই বাংলাদেশে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক।’
শেখ হাসিনা দেশবাসীর দোয়া চেয়ে বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে হবে উন্নত দেশ।