যুক্তরাষ্ট্রে লুকনো বিপুল পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র
ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্র তার দেশের অভ্যন্তরে ভূগর্ভস্থ অজানা কোন স্থানে শত শত নিউক্লিয়ার মিসাইল লুকিয়ে রেখেছে বলে বিখ্যাত বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)-র বিশ্লেষকরা দাবি করেছেন। যে কোন মূহূর্তে উদ্ভূত যুদ্ধংদেহী পরিস্থিতি সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্র এ পারমাণবিক অস্ত্রসমূহ ব্যবহার করতে পারে।
বিখ্যাত আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এপির ন্যাশনাল সিকিউরিটি বিষয়ক লেখক রবার্ট বার্নস তার রিপোর্টে বলেন, মজুদ করে রাখা পারমাণবিক অস্ত্রগুলো অপরিমেয় শক্তির আধার, যা প্রায় অর্ধেক পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এর জন্য প্রয়োজন শুধু একজন ইউএস প্রেসিডেন্টের হ্যাঁ-বোধক ইশারা। তবে নব্য অতর্কিত সন্ত্রাসপদ্ধতি বা সাইবার এটাকের সামনে বিপুল ব্যয়সাধ্য এ সমস্ত যুদ্ধাস্ত্র ভবিষ্যতের পৃথিবীতে কতটুকু কাজে আসবে, সে ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেন।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ আছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চাক হেগেলের ২০১২ সালে অনুমোদনকৃত একটি রিপোর্ট-এর কথা, যেটি তৈরি করেছিলো গ্লোবাল জিরো নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সে রিপোর্টে যুক্তরাষ্ট্রের মজুদকৃত এসমস্ত ব্যালাস্টিক ক্ষেপনাস্ত্রের ভবিষ্যত-উপযোগীতা ফুরিয়ে যাবার আশঙ্কা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে, সে রিপোর্টের আলোকে, গোপনে সে অস্ত্র নষ্ট করে ফেলার কথা ভাবতে পারে বলে বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কথা থেকেও তার আভাস পাওয়া গেছে। সম্প্রতি তিনি সেনাবাহিনীকে নতুন ‘নন-নিউক্লিয়ার’ আক্রমণ পদ্ধতিতে আবির্ভূত হতে বলেছেন।
তবে সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, প্রতিরক্ষা বিভাগ এখনও পারমাণবিক অস্ত্রের পেছনে বিলিয়ন ডলার বাজেট রেখেছে।
গত শুক্রবার কংগ্রেশনাল বাজেট অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী দশ বছরে ১৩২ লাখ কোটি মার্কিন ডলার খরচ দিতে হবে পেন্টাগনকে, পারমাণবিক অস্ত্র ইস্যুতে। যার মাঝে ২০ লাখ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হবে ইন্টারন্যাশনাল বা ইন্টারকন্টিনেন্টাল মিসাইল ক্ষেপণাস্ত্রের পেছনে।
এবং এ পারমাণবিক অস্ত্র পরিচালনায় যে ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন হবে, তা তৈরি করতে খরচ পড়বে আরও ৫৬ লাখ কোটি মার্কিন ডলার।