ফোনে টিকিট কিনছেন যাত্রীরা
ঢাকা: টার্মিনালে থেমে আছে দূরপাল্লার সব বাস। আর চালক এবং শ্রমিকরা বাস মেরামত, আড্ডা আর কেউবা বাসে ঘুমিয়ে অলস সময় কাটাচ্ছেন। নেই কোনো যাত্রীর ভিড়। তবে বাইরের কাউন্টারগুলো বন্ধ থাকলেও টার্মিনালের ভেতরের কাউন্টারগুলোতে দূরপাল্লার বাসের শুক্রবারের অগ্রীম টিকিট বিক্রি হয়। দুপুর ১২টা বাজতেই বিক্রি প্রায় প্রায় শেষ হয়ে যায়।
একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের তৃতীয় দিনে এ চিত্র দেখা গেছে মহাখালী বাস টার্মিনালে।
কথা হয় বাস মালিক সমিতির সদস্য মো. সিরাজের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা আগামীকাল ভোর ৬টা থেকে দু’দিনের জন্য দূরপাল্লার বাস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জীবন জীবিকার কথা চিন্তা করে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’
ঢাকা-সিলেট রুটের এনা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার জসিম উদ্দিন বলেন, ‘কাউন্টারে আসতে ভয় পাচ্ছেন যাত্রীরা। তাই ফোনে টিকেট কাটছেন। ভিড় না থাকলেও টিকিট সব বিক্রি হয়ে গেছে।’
পরিস্থিতি ভাল থাকলে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর বাস ছাড়ার আশা করেন তিনি।
যাত্রী কেরামত আলী যাবেন নওগাঁ। শুক্রবার সকাল ৬টার গাড়ির টিকিট নিয়েছেন। অগ্রীম টিকিটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাসের টিকেট এখন সোনার হরিণ। কখন বাস ছাড়বে কিছুই বলা যায় না। তাই অগ্রীম টিকিট নিয়েছি। যাওয়াটা এখন ভাগ্যের ওপর নির্ভর করছে।’
নওগাঁ রুটের একতা পরিবহনের চালক মাজেদুল হক বলেন, ‘আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাই পেটের দায়ে। অথচ আমরাই এখন রাজনৈতিক দলগুলোর মূল টার্গেট হয়ে গেছি।’
তিনি অবরোধকারীদের উদ্দেশে অনুরোধ করে বলেন, ‘অন্তত যাত্রী থাকা অবস্থায় বাসে অগ্নিসংযোগ করবেন না, এটা খুবই অমানবিক।’
বৃস্পতিবার মহাখালী বাসটার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার বাস না ছাড়লেও বিকেলের পর থেকে ঢাকার নিকটবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বাস চলাচল শুরু হবে বলে আশা করছেন টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ।