বাবুলকে আটকের চেষ্টা: চাপে যমুনা টেলিভিশনের কর্মীরা
ঢাকা: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের বাসার সামনে থেকে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বাবুলকে আটকের চেষ্টার কথা জানার পর মানসিক চাপে পরে গেছেন যমুনা টেলিভিশনের কর্মীরা।
তারা মনে করছেন, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যমুনার চেয়ারম্যানের ওপর সম্ভবত বিরক্ত এবং নাখোশ। এ কারণেই তাকে আটকের চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে। তবে, কারণ যাই হোক নূরুল ইসলাম বাবুলের যেকোনো পদক্ষেপ চ্যানেলটিকে বিপদে ফেলবে বলে চ্যানেলটির অনেক কর্মীই মনে করছেন।বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং যখন এরশদের সঙ্গে তার বারিধারার বাসভবনে দেখা করতে আসেন তখন নূরুল ইসলাম বাবুলও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সুজাতা সিং চলে যবার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে এরশাদ যখন কথা বলছিলেন তখন নূরুল ইসলাম বাবুল তার বাম পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এরশাদ নির্বাচনকালীন সরকার থেকে তার মন্ত্রীদের পদত্যাগের কথা বলার সময় নূরুল ইসলাম বাবুলকে বেশ খোশমেজাজে দেখা যাচ্ছিল।দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং নূরুল ইসলাম বাবুলের ঘনিষ্ঠতার কথা সবাই জানেন। বলা হয়ে থাকে এ সরকারের সময় বন্ধ হয়ে যাবার পর এরশাদের কল্যাণেই আবার সম্প্রচারের অনুমতি পেয়েছে যমুনা। এ নিয়ে কয়েকমাস আগে দেশের একটি শীর্ষ দৈনিকে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছিল। পুনরায় অনুমতি পেয়ে এখনও সম্প্রচারে আসতে পারেনি যমুনা। অনেকেই মনে করছেন- সংশ্লিষ্টমহল যদি সত্যি সত্যি নূরুল ইসলাম বাবুলের ওপর ক্ষুব্ধ হয় তাহলে নতুন করে সংকটে পরতে পারে যমুনা টেলিভিশন।