রিজভীর রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর
ঢাকা: রাজধানীর শাহবাগে বিহঙ্গ পরিবহণের একটি গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদের জামিন-রিমান্ড উভয় আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। তবে দশ দিনের মধ্যে তাকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বুধবার সকাল সাড়ে দশটায় রিজভী আহমদকে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট এম এ সালামের আদালতে হাজির করা হয় রিমান্ড শুনানির জন্য। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের শুনানি করেন, অ্যাডভোকেট সানাউলাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, বোরহান উদ্দিন, মোহসীন মিয়া প্রমুখ আইনজীবী।
আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রুহুল কবির রিজভী জামিন-রিমান্ড উভয় আবেদন নামঞ্জুর করেন। প্রয়োজনে তদান্তকারী কর্মকর্তাকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
৩০ নভেন্বর মামলার কেস ডকেট (সিডি) না থাকায় রিমান্ড বিষয়ে শুনানি জন্য ৪ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আশিকুর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের শিশু পার্ক এলাকায় গাড়ি পোড়ানো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন শাহবাগ থানা পুলিশের পরিদর্শক এম এ জলিল।
মতিঝিল থানার আরো দুটি মামলায় রিজভীকে গ্রেফতার দেখিয়ে ২০ দিন রিমান্ডের আবেদন করা হয়। এ মামলায় রিজভীর সঙ্গে আটক অপর বিএনপি নেতা বেলাল আহমেদকেও গ্রেফতার করে ২০ দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হয়েছে। আগামী ৯ ডিসেন্বর রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য আছে। ওই মামলা দুটিতে মওদুদসহ বিএনপির পাঁচ নেতা আটক আছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় শিশুপার্ক এলাকায় সদরঘাট থেকে মিরপুরগামী বিহঙ্গ পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১৯ যাত্রী গুরুতর আহত হন। ইতিমধ্যে নাহিদ ও রবিনসহ পাঁচজন মারা যায়।
রুহুল কবির রিজভীসহ ১৮ দলের কতিপয় নেতা-কর্মীর পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ উস্কানি, পরিকল্পনা, যড়যন্ত্র, সহায়তা, মদদ ও অর্থায়নের অভিযোগ আনা হয়।
পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে নাশকতা ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা মামলাটি দায়ের করেন (মামলা নং ৫৮/তাং- ২৮-১১-২০১৩)।
মামলাটিতে অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৯ শীর্ষ নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
গত শনিবার ভোরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে রিজভীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদকেও আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।