adv
২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হƒদরোগে মারা গেছেন নাসির উদ্দিন পিন্টু

pintu-300x169নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাতদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু মারা গেছেন  রোববার বেলা ১২টা ১০ মিনিটে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে তিনি মারা যান।
তবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হƒদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. রইস উদ্দিন দাবি করেন, হাসপাতালের বাইরেই পিন্টু মারা গেছেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। রাজশাহীর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান জানান, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু নানা রোগে ভুগছিলেন। হার্ট, কিডনি, ডায়াবেটিকস, ব্লাডপ্রেসারসহ চোখ ও বুকের সমস্যা ছিল তার।
রোববার দুপুর ১২টার দিকে তিনি কারাগারের মধ্যে বুকের ব্যথা অনুভব করেন ও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাকে কারাগার থেকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে আসার পর পিন্টু মারা যান।
কারা চিকিতসক এসএম সায়েম জানান, বেলা ১১টার দিকে নাসিরুদ্দিন পিন্টু অসুস্থ বোধ করেন। তার বুকের ব্যথা তীব্র হলে দুপুর ১২টার দিকে তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের হƒদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. রইস উদ্দিন দাবি করেন, নাসিরুদ্দিন পিন্টু রামেক হাসপাতালের বাইরেই মারা গেছেন। যখন তাকে ভর্তি করা হয় তখন তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
হƒদরোগ বিভাগের প্রধান ডা. রইস উদ্দিন আরো জানান, কারাবন্দি নাসিরুদ্দিন পিন্টু হার্ট, কিডনি, ডায়াবেটিকস, ব্লাডপ্রেসারসহ চোখ ও বুকের সমস্যায় ভুগছিলেন। কারাগার থেকেই শনিবার রামেক হাসপাতালের পরিচালকের কাছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়। সেই অনুযায়ী তিনি কারাগারে পিন্টুর চিকিৎসার জন্য যান। কিন্তু সিনিয়র জেলা সুপার শফিকুল ইসলাম খান তাকে পিন্টুর চিকিৎসা করতে দেননি। রোগীর অব¯’া ভালো ছিল না বলেই পরের দিনই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এবিষয়ে সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান জানান, ২৫ এপ্রিল তার ফলোআপ চিকিৎসার ডেট ছিল। ওই দিন তাকে রামেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
শনিবার চিঠি দেয়ার পরেও কেনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে নাসিরুদ্দিন পিন্টুর চিকিৎসা করা হয়নি এ প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খান কোনো কথা না বলেই রামেক হাসপাতাল ত্যাগ করেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মতিউর রহমান মন্টু কারা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসার অবহেলার অভিযোগ এনে বলেন, ‘শনিবার নাসিরুদ্দিন পিন্টুর সঙ্গে তিনি দেখা করেছেন। এসময় পিন্টু তাকে জানান যে, কারা কর্তৃপক্ষ ঠিকমতো তাকে ওষুধ দিচ্ছে না।
জানা গেছে, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ২০০৯ সালে গ্রেপ্তার হন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু। নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানদের পালিয়ে যেতে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয়। এ বিচারে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়।

গত ২০ এপ্রিল তাকে নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরিত করা হয়। এর আগেও গত সপ্তাহে হার্টের সমস্যায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া