সাংবাদিকদের মনিরুল ইসলাম বললেন- আমার জানামতে আইএসের কোনো টুপি নেই
নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, হলি আর্টিজানে হামলার মামলার রায়ের মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা একটা ম্যাসেজ পেলো। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে কেউ সাহস পাবে না।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে রায়ের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
আসামির মাথায় আইএসের টুপির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জানামতে আইএসের কোনো টুপি নেই। আইএস’র সৃষ্টি থেকে এ পর্যন্ত তাদের কোনো টুপি দেখা যায়নি। তারপরও তাদের কোনো টুপি আছে কিনা তা বিশ্লেষণ করে দেখা হবে।
পাশাপাশি কারো গাফলতির কারণে এরকম টুপি আসামির কাছে এসেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, হলি আর্টিসান মামলার রায় সন্ত্রাসীদের জন্য একটা মেসেজ (বার্তা)। এ রায়ের মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা কঠিন বার্তা পেলো, ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করতে কেউ সাহস পাবে না। তিনি আরো বলেন, জঙ্গিদের হলি আর্টিজানে হামলা ছাড়াও আরো হামলার পরিকল্পনা ছিল। তারা আরো হামলার পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট ২০১৬ সালের জুলাইয়ে কল্যাণপুরে জীবিত এক আসামিকে গ্রেফতার করে হলি আর্টিজান মামলার ফাউন্ডেশন খুঁজে পায়।
এর আগে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আমি কি এটার জবাব দিতে পারব? এটা কী করে হলো, সেটা নিশ্চয়ই তদন্ত করা হবে। কী করে আসল, এটা তো আমি আজ এখানে জবাব দিতে পারব না। আমার পক্ষে এটার জবাব দেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু নিশ্চয়ই ব্যাপারটি তদন্ত হওয়া উচিত।’
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার মামলার আট আসামির মধ্যে সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বাকি একজন মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান খালাস পেয়েছেন। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার পর আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগান ও জাহাঙ্গীর হোসেনের মাথায় আইএসের টুপির মতো দেখা যায়।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, কারাবেষ্টনির মধ্যে কীভাবে আসামিদের মাথায় এ ধরনের টুপি এলো?