আনন্দ – বেদনার দিন কাটালো বাংলাদেশ
ক্রীড়া প্রতিবেদক : হাশিখুশি আর আনন্দ বেদনায় দিন কাটালো বাংলাদেশ। দিনের শুরুতে লঙ্কানদের যেভাবে উইকেট পড়ছিলো, তাতে যে কারোরই আনন্দ পাবার কথা। কিন্তু আনন্দের উল্টোপিঠে যে বিষাদ, তা একবারও মাথায় আসেনি টাইগারদের।
দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ রান তুলতেই চার চারটি উইকেট হাওয়া হয়ে গেলো। অথচ লঙ্কানরা সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২২ রান তুললেও চার উইকেট হারিয়েছিলো ৯৬ রানে। আজ শেষ বিকালে স্বাগতিকদের ব্যাটিংধসের মহড়ায় যার পরনাই হতাশ ক্রিকেট প্রেমীরা, সেই সঙ্গে তামিম ইকবাল, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েসকে হারিয়ে যেন টেটাবিদ্ধ বাংলাদেশ দল।
৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার যারা ব্যাটিং করবেন তারা কতোটা পথ এগুতে পারবেন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে টাইগারদের সামনে। রাজ্জাক-তাইজুলদের বোলিং তোপে ৬৫.৩ ওভারে ২২২ রানে গুটিয়ে গেলেও রিয়াদবাহিনী এই রানের বিপরীতে ৪ উইকেটে ৪৫ রান তুলে দিন শেষে ব্যাকফুটেই থেকে গেলো।
১৬৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিকরা। হাতে রয়েছে ছয়টি উইকেট। লিটন দাস ২৪ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ রান করে অপরাজিত আছেন। হাতে উইকেট থাকলেও এই পিচে ব্যাটসম্যাদের জন্য রান করা কঠিন হবে, সেটা প্রতীয়মান প্রথম দিনেই।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচ চলছে মিরপুর স্টেডিয়ামে। সকালে টস জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। ২২২ রানে সফরকারীরা বিদায় নিলে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে বোলার সুরঙ্গা লাকমলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তামিম ইকবাল। তিন বল খেলে চার রান করেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে রান আউট হন মুমিনুল হক। তিন বল খেলে শূন্য রান করেন তিনি। দলীয় ১২ রানে সুরঙ্গা লাকমলের বলে বোল্ড হন মুশফিকুর রহিম। ২২ বল খেলে এক রান করেন তিনি। দলীয় ৪৫ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের। দিলরুয়ান পেরেরার বলে এলবিডব্লিউ হন ইমরুল কায়েস। তিনি করেন ১৯ রান।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে দুই ব্যাটসম্যান হাফ সেঞ্চুরি করেন। ৬৮ রান করে আউট হন কুসল মেন্ডিস। ৫৬ রান করেন রোশেন সিলভা। দশটি উইকেটের মধ্যে বাংলাদেশ দুই স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ও তাইজুল ইসলাম নেন চারটি করে উইকেট। বাকি দুইটি উইকেট নেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।