এবার বিরোধী দলের অভাব অনুভব করছেন অর্থমন্ত্রী
ডেস্ক রিপোর্ট : গণতন্ত্র রক্ষায় প্রয়োজন শক্তিশালী বিরোধী দল। রাজনীতিতে শক্তিশালী বিরোধী দল না থাকলে গণতন্ত্র টেকসই হয় না। বিরোধী রাজনীতিবিদরা এ কথা বলে আসছেন বহুদিন ধরে। সরকারি দলের এমপিরাও শক্তিশালী বিরোধী দলের কথা বলেছেন। এবার শক্তিশালী বিরোধী দলের অনুভব করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বুধবার রাতে সিলেট প্রেসক্লাবের নতুন কমিটির অভিষেক ও ফ্যামিলি নাইট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন অনুভূতির কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যখন কোনো সরকার দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকে তখন অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে যায়। নিজের ভুল দেখতে পায় না। এই ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী বিরোধী দল।’
বিরোধী দল সংসদে থাকলে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সংসদে বিরোধী দলের অভাব অনুভব করছি। এর জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দায়ী।’ সরকারের বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা, দেশের উন্নয়নে জনমত গঠনে সংবাদ মাধ্যমকে যথাযথ দায়িত্ব পালনেরও আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘সিলেটের সংবাদ মাধ্যম বেশ সমৃদ্ধ। সিলেটে এমন কিছু সাংবাদিক ও সম্পাদক ছিলেন যারা অত্যন্ত সাহসের সাথে দেশের জাতীয় ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এর জন্য আমরা গর্ববোধ করি।’
জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি.এম কাদের বলেছেন, আমরা লেজুরবিত্তির বিরোধী দল চাই না। শক্তিশালী বিরোধী দল চাই। কিছু ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারছে না। ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী বিরোধী দল। অনুষ্ঠানে মাহবুবউল আলম হানিফ আরও বলেন, বিএনপির সৃষ্টি ক্যান্টনমেন্ট থেকে, তারা অতীতে অন্যের দল ভেঙে নিজের দলে লোক ভেড়ানোর অপচেষ্টা করেছে; কিন্তু আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল। আমরা অন্যের দল ভাঙা-গড়ায় বিশ্বাস করি না। ২০১৫ সালের ২৪ মে ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বলেছেন, গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে কার্যকর, শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন। শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দরকার। বাংলাদেশের গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠায় দেশের সংসদ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল সিলেট নগর ভবনে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন হাইকমিশনার।