অক্টোবরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি
ডেস্ক রিপোর্ট : চলতি অর্থবছরের অক্টোবরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। এ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ২৪১ কোটি ৯০ লাখ ডলার নির্ধারিত থাকলেও আয় হয়েছে ২৩৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ কম। তবে অর্জিত এই লক্ষ্যমাত্রা ২০১৪ সালের একই মাসের চেয়ে ২১ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানে দেখা যোয়, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়নি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় কম হয়েছে প্রায় চার শতাংশ। এ সময় লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৫২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আর আয় হয়েছে এক হাজার ১৩ কোটি ডলার।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, হিমায়িত খাদ্য এবং মাছ রফতানিতেও আয় নেতিবাচক। হিমায়িত চিংড়ি রফতানিতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হলেও আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে। চামড়া, চামড়াজাত পণ্যে এবং জুতা রফতানিতে ধস নেমেছে। পাট ও পাটজাত পণ্যে এবং পাটের ব্যাগ রফতানিতে ভালো আয় হয়নি।
সার্বিকভাবে তৈরি পোশাক খাতে আয় বাড়লে ওভেনে কমেছে। পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, নিট পোশাকের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪১৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার। আর আয় হয়েছে ৪১৭ কোটি ডলার। এতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে তিন দশমিক ৭৬ শতাংশ। ওভেন পোশাকে রফতানি আয় হয়েছে ৪০৬ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। আর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৪৩ কোটি ডলার। এ খাতে ১০ শতংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হলেও তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ কম।
ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনামূলক পর্যালোচনায় দেখা যায়, হিমায়িত খাদ্যে ২৬ দশমিক ৬২ শতাংশ রফতানি কমেছে, কৃষি পণ্যে ২৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ, কেমিক্যাল পণ্যে ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ২৩ দশমিক ২৯ শতাংশ, চামড়া ও চামড়াজাতীয় পণ্যে ৬ দশমিক ৪৯ শতাংশ, হোম টেক্সটাইলে ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ ও সিরামিক পণ্যে ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ রফতানি কমেছে।
গত অর্থবছরের তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে পেট্রোলিয়াম বায়ো প্রোডাক্টে ৪৫৬ দশমিক ৯০ শতাংশ, রাবারে ২৪ দশমিক ১৭ শতাংশ, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যে ১৮ দশমিক ৮০ শতাংশ ও ফার্নিচারে ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ ও পাট ও পাটজাতীয় পণ্যে ৯ দশমিক ১১ শতাংশ।