এবার বড় ব্যবসায়ীদের ঋণ পুনঃতফসিলের শর্ত শিথিল
ঢাকা: রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের ঋণ সুবিধা চলমান রাখার জন্য ঋণ ডাউন পেমেন্ট ও পুনঃতফসিলের মেয়াদকাল ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে বিবেচনা করা যাবে। একই সঙ্গে ঋণ পুনগর্ঠনের মেয়াদকাল যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারবেন নিজেরাই।
২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই সুবিধা বলবত থাকবে। তবে এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র নিতে হবে।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে, কৃষি খাতেও একই সুবিধা পাবেন ব্যবসায়ীরা।
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর একই বিভাগের একই কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এমএমই) খাতের ব্যবসায়ীদের ঋণ পুনঃতফসিলে শর্ত শিথিল করা হয়।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এমএমই) খাতের ঋণ পুন:তফসিলিকরণের শর্ত কিছুটা শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে গ্রাহক-ব্যাংকার সম্পর্কের ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রয়োজনে এ খাতের ঋণ ব্লক হিসেবে স্থানান্তর করা যাবে।
বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে এসএমই খাতে ঋণ প্রবাহ অব্যাহত রাখতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিভাগের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে একথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, দেশে বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এতে স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে এমএমই খাত বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যার ফলে এ খাতের প্রদত্ত ঋণগুলো খেলাপি হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এসএমই খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রদত্ত ঋণ পুনঃতফসিলিকরণে ডাউন পেমেন্টের বিষয়টি গ্রাহক-ব্যাংকার সম্পর্কের ভিত্তিতে বিবেচনা করা যাবে।
এছাড়া অশ্রেণীকৃত ঋণ পুনর্গঠনের মেয়াদকাল আলোচনা করে নির্ধারণ এবং প্রয়োজনে ব্লক করা যাবে।
এদিকে, এর আগে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় করনীয় চূড়ান্ত করতে দু’দফা বৈঠক করে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে।