ড. হাছান মাহমুদের দাবি-দেশের মানুষ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের মানুষ ২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবারের হরতাল ও হরতালকারীদের প্রত্যাখান করেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের মুখপাত্র এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই হরতালের খবর দেশের মানুষ মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছে। দেশের কোথাও কোন হরতাল হয়নি।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হরতালের নামে নৈরাজ্য ও বিশৃংঙ্খলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ হরতালকারীদের উদ্দেশে বলেছেন, প্রাকৃতিক গ্যাস দেশের খুব কম সংখ্যক মানুষ ব্যবহার করে। দেশে বড়জোর লাখে একজন মানুষ প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে। সেই তুলনায় সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহারকারীর সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। সেই গ্যাস কিনতে ২-৩ হাজার টাকা লাগে। অথচ হরতালকারীরা তাদের পক্ষে না থেকে সুবিধা ভোগকারী কম সংখ্যক মানুষের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেছে। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় বেড়েছে তিনগুণ। খেটে খাওয়া মানুষের আয় বেড়েছে তিন থেকে চার গুণ। সেই তুলনায় গ্যাসের দাম বেড়েছে সামান্যই। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে গ্যাসের দাম বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি। সরকার তো আসমান থেকে টাকা আনবে না। জনগণের ট্যাক্স দিয়েই দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, এই হরতালে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি, জামায়াত, জঙ্গীগোষ্ঠী ও স্বাধীনতা বিরোধীরা। জঙ্গী, স্বাধীনতা বিরোধীদের এ দেশের মানুষ অনেক আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। আর অযৌক্তিক হরতাল আহ্বানকারীদেরও এদেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে।
তিনি বলেন, আমি প্রগতিশীল দাবিদার ভাইদের উদ্দেশে বলছি, আপনারা প্রতিক্রিয়াশীল জামায়াত, বিএনপি, জঙ্গীগোষ্ঠীর সুরে কথা না বলে দেশের উন্নয়নে সরকারকে অর্থপূর্ণ পরামর্শ দিন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা হাসিবুর রহমান মানিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এ্যাডভোটেক সামসুল টুকু।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সামসুল টুকু বলেন, অগ্নিসংযোগকারী, হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ায় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তারা এই দেশের উন্নয়ন থামাতে পারেনি। আজ যারা হরতাল ডেকেছে তাদের জনসমর্থন নেই। হরতাল এখন অকার্যকর হয়েছে। মানুষ হরতালকে আর ভয় পায়না বলে তিনি উল্লেখ করেন।