পারমাণবিক অস্ত্রের মতো শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে দ. কোরিয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সারফেস-টু-সারফেস এই ক্ষেপণাস্ত্রকে কৌশলগতভাবে পারমাণবিক অস্ত্র বলেই মনে করছেন অনেকে। খবরটি প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ সংস্থা ইওনহাপ নিউজ।
উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়াতে বাজেট প্রস্তাব প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ক্ষেপণাস্ত্র তিন টন পর্যন্ত ওয়ারহেড বহন করতে পারবে। এর ফ্লাইট রেঞ্জ ৩৫০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ, এত দূরত্বের বস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হবে এই ক্ষেপণাস্ত্র।
এই অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্ষেপণাস্ত্র সুবিধা ধ্বংস করতে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এই অস্ত্র যদি দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দক্ষিণ কোরিয়া নিক্ষেপ করে তাহলে তা উত্তর কোরিয়ার যেকোনো জায়গায় গিয়ে আঘাত করতে পারবে। সেই সাথে এটি আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল ভেদ করে পারমাণবিক অস্ত্র ও আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রকে নিক্ষেপ হওয়ার পূর্বেই রোধ করতে পারবে।
ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পরই দক্ষিণ কোরিয়া এই অস্ত্র তৈরির কাজ শুরু করে। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, ‘আমরা আরও শক্তিশালী, আরও দূরপাল্লার এবং আরও সুনির্দিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করব। যাতে করে আমরা ডেটারেন্স (হুমকি দিয়ে কোনো কিছু করতে বিরত রাখা) অনুশীলন করতে পারি ও নিজেদের নিরাপত্তা রক্ষা করতে পারি।’
দেশটির প্র্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আগামী ২০২২ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত সময়ে যে প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা করা হয়েছে তাতে উল্লেখযোগ্যভাবে ধ্বংসাত্মক শক্তিসম্পন্ন অস্ত্র তৈরি করা হবে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও আধুনিক করা হবে। দূরপাল্লার কামান প্রতিরোধের জন্য ইন্টারসেপ্টর স্থাপন করা হবে।’