ইংল্যান্ডের রান পাহাড়ের সামনে বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক : কার্ডিফে বাংলাদেশের বিপক্ষে রানের পাহাড় দাঁড় করিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৮৬ রান করেছে তারা। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।
বিশ্বকাপে এত রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ৩২৯ রান তাড়া করে জিতে রেকর্ড গড়েছিল আয়ারল্যান্ড। ফলে জিততে হলে রেকর্ড গহড়তে হবে টাইগারদের।
এদিন ফিল্ডিং মিসের মহড়া দেখিয়েছে বাংলাদেশ। ফিল্ডিংয়ে এতটাই দুরবস্থা ছিল যে সাকিবের করা একটি ওভারে দৌড়েই চার রান নিয়ে ফেলে ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। বাজে ফিল্ডিংয়ের সাথে নির্বিষ বোলিং ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বড় বেশি ম্লান ছিল টাইগাররা।
বাংলাদেশের সামনে রানের পাহাড় গড়ায় বড় ভূমিকা রাখেন জেসন রয়। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে এই ওপেনার একাই ১৫৩ রান করে ইংলিশদের স্কোরবোর্ডে রানের ফোয়ার ফোটান। সাথে জনি বেয়ারস্টো, জস বাটলার, ইয়ন মরগান ও শেষ দিকে লিয়াম প্লাঙ্কেট ও ক্রিস ওকসের ছোট কিন্তু বিধংসী দুইটি ইনিংসে ভর দিয়ে বড় সংগ্রহ দাঁড়া করায় ইংল্যান্ড।
এদিন শুরুটা অবশ্য ভালোই ছিল বাংলাদেশের জন্য। মাশরাফি নতুন বল তুলে দেনে সাকিবের হাতে। প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান দেন সাকিব। পরের ওভারে আসেন মাশরাফি নিজে। প্রথম ৫ ওভারে মোটামুটি নিয়ন্ত্রিত বোলিংই করেছেন তারা।
কিন্তু ষষ্ঠ ওভার থেকে বদলে যায় সব। খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন ইংলিশ ওপেনারদ্বয়। বিশেষ করে জেসন রয়। মাত্র ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রয়। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৯২ বলে। ওপেনিং জুটিতে ১২৮ রান আসার পর আউট হয়ে যান বেয়ারস্টো। মাশরাফির বলে মিরাজের ক্যাচে পরিণত হওয়ার আগে ৫১ রান করে বেয়ারস্টো।
এরপর রুট এসে যোগ দেন রয়ের সাথে। দুইজনের জুটিতে আসে ৭৭ রান। ব্যক্তিগত ২১ রানে আউট হন রুট। তার কিছুক্ষণ পর আউট হয়ে যার রয়ও। তবে তার আগে ১২১ বলে ১৫৩ রান করে ফেলেন তিনি। মেরেছেন ৫টি ছক্কা ও ১৪টি চার।
রয়ের বিদায়ের পর ইংলিশদের রানের চাকা সচল রাখার দায়িত্ব নেন জস বাটলার। ৪টি ছক্কা ও ২টি চারে সাজিয়ে ৪৪ বলে ৬৪ রান করে আউট হন তিনি।
তবে ইংলিশদের স্কোরে শেষ দিকে গতি আনেন ক্রিস ওকস ও লিয়াম প্লাঙ্কেট। সপ্তম উইকেটে জুটিতে এই দুইজন মাত্র ১৭ বলে তুলে নেন ৪৫* রান। ওকস ৮ বলে অপরাজিত ১৮* ও প্লাঙ্কেট ৯ বলে অপরাজিত ২৭* রান করেন।
বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি ও মোস্তাফিজুর রহমান।