সাবেক ক্রিকেটার চামেলীর চিকিৎসা ভারতের স্পর্শ হাসপাতালে
স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক ক্রিকেটার চামেলী খাতুনের চিকিৎসা হচ্ছে ভারতে। শনিবার সকালে দেশটির ব্যাঙ্গালুরের শীর্ষ পর্যায়ের বেসরকারি ক্লিনিক স্পর্শ অর্থপেডিক হাসপাতালে তার চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তাকে সেখানে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় ব্যক্তি সুমন রায়। এই সুমন রায়ের আদি বাসস্থান বাংলাদেশের খুলনার সাতক্ষিরা।
রোববার এই হাসপাতালে ভর্তি হবেন তিনি। শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চামেলী।
সুমন রায় জানান, নারায়ণ হাসপাতালের পাশেই বেসরকারি ক্লিনিকটির অবস্থান। সকালে ডা. প্রশান্ত তেজওয়ানি ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে করা সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টগুলো পর্যবেক্ষণ করেন এবং রোববার হাসপাতালে ভর্তি হবার পরামর্শ দেন।
সুমন বলেন, অপারেশন করলেই আগামী এক বছরের মধ্যে চামেলী স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ডাক্তার।
চামেলী জানান, বাংলাদেশ থেকে শুক্রবার দুপুরে ঢাকা হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে একটি ফ্লাইটে কলকাতা বিনামবন্দর পৌঁছান। সেখান থেকে ব্যাঙ্গালুরে গিয়ে সুচি গেস্ট হাউজে অবস্থান করছেন। তার সাথে রয়েছেন ভাগ্নে রায়হান, খালা ও খালাত বোন।
চামেলীর পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে অবস্থান করছিলেন রাজশাহী মহানগরীর দরগাপাড়ার জরাজীর্ণ একটি ঘরে। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে অনেকেই তার পাশে এসে দাঁড়ান।
এ সময় তার চিকিসার সকল দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ২ নভেম্বর রাজশাহী থেকে ঢাকা নিয়ে ভর্তি করা হয় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতালে) ২১৬ নং কেবিনে।
সেখানে প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে হাসপাতালেই চিকিৎসার প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু চামেলী দাবি করেন ভারতে চিকিৎসার জন্য। তার দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় ভারতে।
বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের হয়ে ১৯৯৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত মাঠ মাতিয়ে বেড়িয়েছেন চামেলী খাতুন।
২০১০ সালের এশিয়া কাপের রানার আপ হওয়া দলের হয়ে মাঠ মাতান এই দাপুটে ক্রিকেটার। এর বাইরে ঢাকা বিভাগে খেলেছেন টানা। দুই মৌসুম শেখ জামালের ক্যাপ্টেন হিসেবে সামনে থেকে টেনে নিয়ে গেছেন দলকে। এখন তিনিই পরাস্ত ইনজুরিতে। -পরিবর্তন ডটকম