চুয়াডাঙ্গায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২
ডেস্ক রিপাের্ট : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' দুইজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে উপজেলার দর্শনা শান্তিপাড়া বাইপাস সড়কের এ ঘট্নায় ঘটে।
র্যাব-৬ ঝিনাইদহ কোম্পানি অধিনায়ক উপপরিচালক মেজর মনির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত শাকিল (২৬) দামুড়হুদা ঘাটপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে ও সবুজ (২৮) চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের সিএন্ডবিপাড়ার মৃত হামিদুল ইসলামের ছেলে। তারা উভয়ই দামুড়হুদা ব্রীজপাড়ার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে চুয়াডাঙ্গা ভিজে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সজীব অপহরণ ও খুন-গুম মামলার এজহারভুক্ত আসামি।
মেজর মনির আহমেদ জানান, বুধবার মধ্যরাতে র্যাবের একটি টহলদল চুয়াডাঙ্গাতে টহলে বের হয়। তারা ভোর পৌনে ৩ টার দিকে দামুড়হুদার পরানপুর বেলে মাঠস্থ পুকুর পাড় এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা র্যাবকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় র্যাবের দু সদস্য শাহিন ও শামিম আহত হয়। এরই এক পর্যায়ে র্যাব ঘটনাস্থল থেকে শাকিল ও সবুজকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, র্যাব ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া একটা দেশি শার্টারগান, একটি রিভলবার, ৪ রাউন্ড গুলি ও ২টি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করেছে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর দামুড়হুদার গোবিন্দহুদা চটাঙ্গার মাঠ সংলগ্ন একটি আমবাগানের মধ্যে র্যাবের সাথে 'বন্দুকযুদ্ধে' স্কুলছাত্র সজিব হত্যা মামলার প্রধান আসামি রাকিব মেম্বার নিহত হন। এ নিয়ে ওই মামলায় মোট ৬ আসামির মধ্যে প্রধান তিন আসামি র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলো।
স্কুলছাত্র সজীব হত্যা মামলার বাদী তার মামা আব্দুল হালিম এ ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং বাকি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য র্যাব-পুলিশের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ জানান, নিহত শাকিল ও সবুজের লাশ তাদের পরিবারের লোকজন থানায় এসে সনাক্ত করেছে। বেলা ১১ টার দিকে দুইজনের লাশের ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত শেষে লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই রাতে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত বৃক্ষমেলা থেকে চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র সজিবকে (১৪) অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
অপহরণের ৩২ দিনের মাথায় গত ৩১ আগস্ট সেপটিক ট্যাংক থেকে অপহরণের শিকার স্কুলছাত্র সজিবের গলিত লাশ উদ্ধার হয়।