শেখ হাসিনা-শি জিনপিং বৈঠক
ডেস্ক রিপাের্ট : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষ হয়েছে।
বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। এগুলো সই করেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
১৪ অক্টােবর শুক্রবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল কক্ষে দুই নেতা বৈঠকে বসেন।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকায় পৌঁছেন। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চীনের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য।
অবতরণের পর রাষ্ট্রীয় এই অতিথিকে ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। এরপর দুটি শিশু ফুল দিয়ে প্রেসিডেন্টকে বরণ করে নেওয়ার পর লাল গালিচায় হেঁটে তিনি সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছান।
পরে চীনের প্রেসিডেন্টকে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় বাজানো হয় দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত। এরপর প্রেসিডেন্ট হোটেল লা মেরিডিয়েনে চলে যান।
সংক্ষিপ্ত এই সফরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন চীনের প্রেসিডেন্ট।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এখান থেকে তিনি আবার হোটেলে যাবেন। সেখানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরে সন্ধ্যা ৬টায় তিনি বঙ্গভবনে যাবেন। সেখানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে অংশ নেবেন তার সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে।
শি জিনপিংয়ের এটাই প্রথম ঢাকা সফর নয়। ২০১০ সালেও তিনি ঢাকা সফরে এসেছিলেন। তখন তিনি ছিলেন চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। ২০০৮ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সেটাই ছিল তার দ্বিতীয় বিদেশ সফর। ২০০৯ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি প্রথম বিদেশ সফর করেন দক্ষিণ আমেরিকায়। ২০১০ সালে দ্বিতীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন।