লালমনিরহাটে কোনঠাসা হয়ে পড়া আ.লীগ দল গোছাচ্ছে
ডেস্ক রিপোর্ট : সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় কোণঠাসা হয়ে পড়া আওয়ামী লীগের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝিমুনি ছিল। সেই ঝিমুনি থেকে নেতাকর্মীদের চাঙা করতে দল গোছাতে বাস্ত সময় পার করছে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগ। ফলে বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে সচলতা ফিরেছে।
এরই মধ্যে শাসক দলটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ছাত্রলীগসহ কয়েকটি সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠনের কাজ শেষ করেছে। সহযোগী সংগঠনের মেয়াদ শেষ হওয়া অন্য কমিটিগুলোও গঠন করার চিন্তা চলছে দলে।
আওয়ামী লীগের পাঁচ উপজেলা কমিটিগুলোর মধ্যে ইতিপূর্বে যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ছিল, তাও কাটিয়ে উঠেছে তারা। এর পেছনে ভূমিকা রেখেছেন জেলা সভাপতি, লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের সংসদ মোতাহার হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান। তাদের নির্দেশে দল গোছানোর পাশাপাশি নতুন সদস্য সংগ্রহ করতে বাস্ত সময় পার করছেন উপজেলা কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকেরা। শাসক দলের একাধিক নেতা জানান, তাদের মূল লক্ষ্য দলে বেশি বেশি নতুন কর্মীর যোগদান নিশ্চিত করা।
নিজ আসনের দুই উপজেলা পাটগ্রামের আ.লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বাবুল এবং হাতীবান্ধা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চুর সঙ্গে কোনো মতবিরোধ নেই সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের। তবে কালীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাহাবুবুজ্জামান লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের সংসদ ও খাদ্য প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের ছোট ভাই হওয়ায় এককভাবে বরাদ্দ নিয়ে উন্নয়নকাজ করছেন বলে সমালোচনা আছে।
সদর আসনে আওয়ামী লীগ সংসদ ইঞ্জিনিয়ার আবু সাইদ দুলাল বয়সের ভারে এখন নাজুক। কিন্তু স্থানীয় সংসদের সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মতানৈক্য দেখা যায়নি।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমানের দাবি, লালমনিরহাটে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বরাবরের মতোই ঐক্যবদ্ধ।