adv
২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় কর্মকর্তা কারাগারে দেখা করলেন অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশের কারাগারে বন্দি উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন অফিসের কনসুলার জে.পি সিং তার কাছে ভারতে ফিরে যাওয়ার কথা জনিয়েছেন চেটিয়া।
অনুপ চেটিয়াকে এখন গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কাশিমপুর কারাগারে অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে দেখা করেন জে.পি সিং। জে.পি সিংয়ের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশন অফিসের দোভাষী দীপক দেবনাথও ছিলেন। কারা-সুপার মো. মিজানুর রহমানের উপস্থিতিতে অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে কথা বলেন তারা।
জেলার জান্নাতুল ফরহাদ জানান, ‘প্রায় এক ঘণ্টা অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে তারা কথা বলেন্ এ সময় কনসুলার অনুপ চেটিয়ার দেশে ফেরার কোনো আগ্রহ আছে কিনা তা জানতে চান, জবাবে অনুপ চেটিয়া দেশে ফেরার সম্মতি প্রকাশ করেন।

এর আগে গত বছরের মে মাসে তার দুই সহযোগীকে নিয়ে ভারতে ফিরতে রাজশাহী কারাগারের কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন অনুপ চেটিয়া তারপরই তাকে রাজশাহী কারাগার থেকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে অনুপ চেটিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান এবং বিদেশি মুদ্রা ও একটি স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে মোট তিনটি মামলা হয়। তিনটি মামলায় তাকে যথাক্রমে তিন, চার ও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আদালত। ২০০৭ সালের ২৫ ফেব্র“য়ারি তার সাজার মেয়াদ শেষ হলেও, এখনো তিনি কারাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে আছেন।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ২০০৩ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন অনুপ চেটিয়া। এ কারণে তাকে হস্তান্তরে আইনি জটিলতা ও দুই দেশের মধ্যে বন্দি প্রত্যার্পণ চুক্তি না থাকার কথাও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়। তবে এখন আর এ ধরণের আইনি জটিলতা নেই।
অনুপ চেটিয়া গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করা আবেদনে তার সঙ্গে আটক তার দুই সহচর লক্ষ্মী প্রসাদ গোস্বামী ও বাবুল শর্মাকে নিয়ে নিজ দেশে ফিরতে চাওয়ার কথা বলেন।

জানা গেছে, কাশিমপুর কারাগারের ছয় তলাবিশিষ্ট শৈবাল ভবনের দ্বিতীয় তলায় দুটি পাশাপাশি ভিআইপি সেলে অবস্থান করছেন অনুপ চেটিয়া ও লক্ষ্মী প্রসাদ গোস্বামী। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের সেল পাশাপাশি দুই কক্ষ হলেও, ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চেটিয়া ও গোস্বামী এক সঙ্গেই দিন কাটান। তাদের কয়েদির পোশাকও পরতে হয় না। দু'জন নানাভাবে সময় কাটান, কখনও গল্প করেন, কখনও তাস খেলেন আর মাঝেমধ্যে একমাত্র চ্যানেল বিটিভি দেখেন। কারণ কারাগারে স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ নেই। -ডিডব্লিউ

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া