বাসে ধর্ষণ মামলায় চালক ও সহকারীর যাবজ্জীবন
মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে চলন্তবাসে গার্মেন্টসকর্মী ধর্ষণ মামলায় দুই আসামি চালক ও সহকারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মামলার আসামি শুভযাত্রা পরিবহনের চালক দিপু মিয়া ও হেলপার আবুল কাসেমের উপস্থিতিতে বহুল আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন জেলা ও দায়রা জজ একেএম মোস্তফা দেওয়ান। মামরার আসামি পক্ষে ছিলেন- অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন ও অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলা দায়রা জজ আদালতে শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন বিচারক। গত ২৪ জানুয়ারি সাভারের কর্মস্থল থেকে গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ি যাওয়ার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শুভযাত্রা পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে ওই নারী পোশাক শ্রমিক ধর্ষণের শিকার হন। এ ঘটনায় চালক দিপু মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। পরে ওই বাসের হেলপার আবুল কাশেমকে পুলিশ নবীনগর থেকে আটক করে। এরপর চালক ও হেলপার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। প্রাথমিক রিপোর্ট, আসামির জবানবন্দি, মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়ার পর ১৩ জনকে সাক্ষী করে চার্জশিট তৈরি করা হয়। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার ওসি (তদন্ত) শহিদুর রহমান ঘটনার ১৬ দিন পর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মানিকগঞ্জে কোনো ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত সময়ের মধ্যে চার্জশিট দেয়ার নজির এটাই প্রথম। আদালত মোট ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষে ১৩ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেন। উল্লেখ্য, দিল্লিতে চলন্তবাসে তরুণী ধর্ষণের ঘটনার ক’দিন পরেই মানিকগঞ্জে এই ঘটনা ঘটে। এতে তীব্র নিন্দার ঝড় বইতে থাকে সারাদেশে। দাবি উঠে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। মামলার দুই আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ায় রায়ে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।