হকার ও পানির ব্যবসার আড়ালে বোমা তৈরি
ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে রোববার দিবাগত রাতে বোমা চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ইকবাল হোসেন রানা ওরফে বোমারু রানা এবং তার সহযোগী পানি ব্যবসায়ী মনির হোসেন, হকার বাবু, ফ্রুটো সোহেল, রিকশাচালক রিপন, মানিক ও রুবেল।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম বলেন, “খিলগাঁওয়ের পূর্ব গোড়ানের একটি বাসা থেকে বোমারু রানাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেয়া তথ্য মতে ওই বাসার ছাদ থেকে আট কেজি বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।”
ডিবি পুলিশের দাবি- রানা ৫৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। বিভিন্ন এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের জন্য টাকার বিনিময়ে কাজ করে। এই চক্রের অপর সদস্য মনির হকার ব্যবসায় ও বাবু পানির ব্যবসার আড়ালে বোমা বানাতো। ফ্রুটো সোহেল ফ্রুটোর বোতল দিয়ে বিশেষ কায়দায় পেট্রোল বোমা বানাতে পারদর্শী। রিকশাচালক রিপন রিকশাযোগে বিভিন্ন বোমাবাজদের কাছে বোমা পৌঁছে দিত। মানিক ও রুবেল বোমা নিক্ষেপের কাজটি করত খুব সূক্ষ্মভাবে সম্পন্ন করত।
যুগ্ম কমিশনার মনিরুল জানান, তাদের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক দিয়ে প্রায় দেড় হাজার বোমা বানানো সম্ভব ।
তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতরা অবরোধ ও হরতালে আতঙ্ক ও নাশকতা সৃষ্টির জন্য বোমা তৈরি ও নিক্ষেপের কাজ করত বলে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে খিলগাঁও থানায় মামলা হয়েছে। আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজধানীতে গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীকে ধরিয়ে দিলে এক লাখ টাকা ও বোমা নিক্ষেপকারীকে ধরিয়ে দিলে ২৫ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় ও উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।