খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে আইনমন্ত্রীর সম্মতি
ডেস্ক রিপাের্ট : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ রোববার এই সম্মতি দেন তিনি। এখন এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে পঞ্চম দফায় খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ গত মার্চে বাড়ানো হয়, যা ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ রোববার টেলিফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আগের শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানোর প্রস্তাবে সম্মতি দেওয়া হয়েছে। এখন শিগগিরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসনের সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে আবেদন করে তার পরিবার।
সবশেষ গত ২৩ মার্চ বিএনপির চেয়ারপারসনের সাজা আরও ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে সরকার। খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চমবারের মতো তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় ওই সময়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেন, পঞ্চম দফায় সাজা স্থগিত হওয়ায় দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা পাওয়া সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবেন কারাগারের বাইরে।
যার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ১১ সেপ্টেম্বর আবারও আবেদন করা হয়।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সরকারের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। ফৌজদারি কার্যবিধিতে এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে এর আগে মোট পাঁচ দফায় মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।
৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় রয়েছেন। তিনি আর্থ্রাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন। কালবেলা