বহু প্রেম-বিয়ে, ব্যর্থ কিমের অভিনয় জীবনও
বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী কিম শর্মা। এক সময়ে চুটিয়ে সিনেমা করেছেন। শাহরুখ খানের ‘ডর’, ‘মহব্বতে’ এবং শাহিদ কাপুরের ‘ফিদা’ ছবিতে তাকে দেখা গেছে। কাজ করেছেন মোট ১৮টি ছবিতে। আবার রিয়েল লাইফে ভারতের এক তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গেও নাম জড়িয়েছিল তার। একসময় তাদের সম্পর্ক নিয়ে বহু জল্পনা ছিল বলিউডের অন্দরে। একসঙ্গে নৈশভোজ, পার্টি, সিনেমা দেখাসহ অনেক জায়গাতেই দেখা যেত কিম ও সেই ক্রিকেটারকে।
কিমের কেরিয়ার শুরু মডেলিং দিয়ে। দিল্লিতে বেড়াতে গিয়ে নাকি আচমকাই মডেলিংয়ের অফার আসে তার কাছে। এরপর একাধিক নামী ব্র্যান্ডের হয়ে কাজ করেন। সম্পর্কে তিনি বলিউড অভিনেতা অর্জুন রামপালের তুতো বোন। যদিও দাদার সঙ্গে কখনও স্ক্রিন শেয়ার করেননি তিনি। ২০০০ সালে শাহরুখ-ঐশ্বরিয়ার পাশে ‘মহব্বতে’ ছবিতে নজর কাড়েন কিম। এরপর আর সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি।
মহাব্বতে’ ছবির শুটিং সেট থেকে কিমের প্রেম হয় অভিনেতা যুগল হংসরাজের সঙ্গে। যদিও সে প্রেম ছিল ক্ষণস্থায়ী। এরপর ২০০৩ সাল পর্যন্ত এক ভিডিও জকি যুধিষ্ঠিরের সঙ্গে নাকি কিম সম্পর্কে ছিলেন।
এর পরেই ২০০৪ সালে তার জীবনে আসেন ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। ভারতের এই তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে বহু বার দেখা গেছে তাকে। ঠিক যখন এই দুই তারকাকে নিয়ে গুঞ্জন চরমে ওঠে, তখনই তাদের ব্রেকআপ হয়ে যায়। শোনা যায়, যুবরাজ নাকি কিমকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। পরে ২০১৯ সালে একটি পার্টিতে সস্ত্রীক যুবরাজের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেখা যায় কিমকে।
যুবরাজের পর স্পেনের বিখ্যাত গায়ক কার্লোস মারিনের সঙ্গেও কিমের স্বল্পকালীন সম্পর্ক ছিল বলে শোনা যায়। ২০০৮ সালে নাকি তাদের এনগেজমেন্টও হয়েছিল। কিন্তু সে সম্পর্কও পরিণতি পায়নি। ২০১০ সালে কেনিয়ার ব্যবসায়ী আলি পুনজানিকে বিয়ে করেছিলেন কিম। কেনিয়ায় নতুন সংসার পেতেছিলেন। কয়েক বছর পরে সেই সম্পর্কেও ফাটল ধরে।
এক সময় শোনা যায়, কিমকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন তার স্বামী আলি পুনজানি। যদিও সেই খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন নায়িকা। ২০১৬ সালে আলিকে ছেড়ে কিম নাকি ভারতে ফিরে আসতে বাধ্য হন। তার পরই এক বলিউড অভিনেতার প্রেমে পড়েন। নাম হর্ষবর্ধন রানে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাকে কিম লেখেন, ‘হ্যাপি বার্থডে বেবি।’ এটা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই শুরু হয় গুঞ্জন।
এক বন্ধুর মাধ্যমে কিম এবং হর্ষবর্ধনের আলাপ হয়েছিল। একটি ফ্যাশন শো-এ প্রথম দুজনে ক্যামেরার সামনে আসেন। তার পর থেকেই তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতার শুরু। ডিজাইনার অর্জুন খান্নার সঙ্গেও কিমের সম্পর্কের গসিপ শোনা যায়। বলিউডের বেশ কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় সে কথা প্রকাশিত হয়। কিমের জন্যই নাকি অর্জুনের সঙ্গে তার স্ত্রী শেফালির সাংসারিক অশান্তি চরমে ওঠে। এমনকি কিম ও অর্জুন লিভ টুগেদার করতেন বলেও শোনা যায়।
তবে কেনিয়ান স্বামী পুনজানির সঙ্গে বিচ্ছেদের পর চরম অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েন কিম। শোনা যায়, প্রায় কপর্দকশূন্য অবস্থায় মুম্বাই ফিরে এসেছিলেন তিনি। এরপর বাড়ির পরিচারিকা কিমের নামে থানায় অভিযোগ করেন। জানান, তাকে বেতন দেয়া হচ্ছে না। ছয় মাস কিমের বাড়িতে কাজ করতেন নম্রতা নামের ওই মহিলা।
তবে কিমের বিরুদ্ধে এ হেন অভিযোগ প্রথম নয়। এর আগের পরিচারিকাকেও নাকি কিম অপমান করে তাড়িয়ে দেন। কারণ অন্য রঙের সঙ্গে সাদা রঙের জামা কাচতে দিয়েছিলেন ওই পরিচারিকা।
একের পর এক সম্পর্ক, ব্যর্থ প্রেম, কেরিয়ার এ সবের মাঝেও লকডাউন পর্বে ইনস্টাগ্রামে একের পর ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। নিজের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন, পোস্টে লিখেছেন এমনই। শোনা যাচ্ছে, খুব শিগগির একটি রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারকের আসনে দেখা যেতে পারে তাকে।