adv
২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরস্পরের চক্ষুশূল ছিলেন শাহিদের দুই সাবেক প্রেমিকা!

বিনোদন ডেস্ক: প্রচলিত আছে, বলিউডে বেশির ভাগ সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কই লোক দেখানো। কিন্তু প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং কারিনা কপূরের সম্পর্ক এতটাই তিক্ত যে, তারা কোনোদিন জনসমক্ষেও ভদ্রতার ধার ধারেননি। এই দুই নায়িকা একসঙ্গে প্রথম কাজ করেন ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অ্যাতরাজ’ছবিতে। সেখানে কারিনা ছিলেন নায়িকা, প্রিয়াঙ্কা ছিলেন খলনায়িকার ভূমিকায়।

শুটিংয়ের সময় দুজনের সম্পর্ক ভালোই ছিল। একে অন্যকে কমপ্লিমেন্টও দিতেন। কিন্তু সুর কাটল ছবি মুক্তি পাওয়ার পর। প্রচারের সব আলো কেড়ে নিলেন প্রিয়াঙ্কা। তার অভিনয় সমাদৃত হল সব মহলে। নায়িকা কারিনাকে সব দিক থেকে ছাপিয়ে গেলেন খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করা প্রিয়াঙ্কা।

সে সময় প্রিয়াঙ্কা মাত্র দুই বছর হল ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন। কারিনা তার আগেই অভিনয় শুরু করেছেন। শোনা যায়, তিনি এত অল্প সময়ে প্রিয়াঙ্কার খ্যাতি মেনে নিতে পারেননি। বিভিন্ন পুরস্কার বিতরণী অনু্ষ্ঠানে কারিনার কথা বলা হতো কিন্তু সেখানে প্রিয়াঙ্কার ভাগ্যেই জুটত ছবির সাফল্যের কৃতিত্ব। এখান থেকেই শুরু দুজনের প্রতিযোগিতা।

এরপর দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায় শাহরুখ খানের ‘ডন’ ছবিতে। সেখানে নায়িকা ছিলেন প্রিয়াঙ্কা, কারিনা করেছিলেন আইটেম ডান্স। ছবিতে প্রিয়াঙ্কার অভিনয় যেমন চূড়ান্ত প্রশংসিত হয়, তেমনি কারিনার নাচও নজর কেড়েছিল। ২০০৭ সালেএ সব হিসাব উল্টোপাল্টা হয়ে যায়। সে বছর মুক্তি পায় ‘জব উই মেট’। এই ছবিতে কারিনার ‘গীত’ চরিত্রটি আইকনিক হয়ে ওঠে নতুন প্রজন্মের কাছে।

অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কার কাছে ২০০৭ ছিল চূড়ান্ত ব্যর্থতার বছর। ‘সালামে ইশক’, ‘বিগ ব্রাদার’সহ তার সব ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তার পরের বছর আবার ‘ফ্যাশন’, ‘দোস্তানা’ ছবিতে প্রিয়াঙ্কার অভিনয় তুমুল জনপ্রিয় হয়। ‘ফ্যাশন’-এ অভিনয় প্রিয়াঙ্কাকে জাতীয় পুরস্কার এনে দেয়।

কিন্তু সে বছর করিনার জন্য মোটেও ভালো ছিল না। ‘তাসান’ বা ‘গোলমাল রিটার্নস’ দুটি ছবিই দর্শকদের পছন্দের তালিকায় আসতে ব্যর্থ হয়। সে বছর কারিনার কাছ থেকে তার প্রেমিক শাহিদ কাপুরকেও কেড়ে নেন প্রিয়াঙ্কা। কারিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর শাহিদ তখন প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ডেট করছিলেন।

এরপর কারিনা প্রকাশ্যে প্রিয়াঙ্কাকে আক্রমণ করেন। করণ জোহারের শোয়ে গিয়ে তিনি কটাক্ষ করেন প্রিয়াঙ্কার উচ্চারণভঙ্গি নিয়ে। পরে ওই একই শোয়ে পাল্টা উত্তর দেন প্রিয়াঙ্কাও। বলেন, তিনি ওই উচ্চারণভঙ্গি রপ্ত করেছেন সেখান থেকে, যেখান থেকে সাইফ আলি খান (কারিনার বর্তমান স্বামী ও তখনকার প্রেমিক) উচ্চারণভঙ্গি শিখেছেন।

কাদা ছোড়াছুড়ি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, কারিনা একবার বলেন, তিনি প্রিয়াঙ্কাকে নায়িকা হিসেবে মনেই করেন না! ক্ষত আরও গভীর করতে ছাড়েননি প্রিয়াঙ্কাও। তিনি বলেন, কারিনা তার সম্মন্ধে এমন মন্তব্য করতেই পারেন। কারণ, কারিনা অনেক সিনিয়র। বয়স নিয়ে এই খোঁচা হজম করতে পারেননি রণধীর-কন্যা।

প্রিয়াঙ্কার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া নিয়েও বলতে ছাড়েননি কারিনা। তিনি বলেন, তার কাছে জাতীয় পুরস্কার গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং তিনি মনে করেন কোনও ছবির জন্য দর্শকদের ভালবাসাই শেষ কথা। শুনে প্রিয়াঙ্কা বলেছিলেন, যিনি জাতীয় পুরস্কার পাননি, তার কাছে আঙুর ফল টকই মনে হবে।

২০১৫ সালে প্রিয়াঙ্কা ও কারিনা দুজনেই একে অন্যকে রীতিমতো টেক্কা দিয়ে যান। কারিনা অভিনয় করেন সালমান খানের বিপরীতে ‘বজরঙ্গী ভাইজান’ছবিতে। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কার সে বছর তুরুপের তাস ছিল ‘মেরি কম’। এরপর হলিউডের আকাশেও ডানা মেলেন প্রিয়াঙ্কা।

অন্যদিকে, বলিউডে তখন বিদ্যা বালনের যুগ শুরু হয়ে গেছে। ‘কাহানি’, ‘ডার্টি পিকচার’-এর মতো ছবি দিয়ে তিনি শাসন করছেন ইন্ডাস্ট্রি। পাশাপাশি দ্রুত উঠে এসেছেন আলিয়া ভাটও। এছাড়া দীপিকা পাড়ুকোন তো ছিলেনই। এদের চাপে কোণঠাসা হয়ে পড়েন কারিনা। কারিনা আবার তখন সাইফ আলি খানকে বিয়ে করে ব্যস্ত হয়ে পড়েন নতুন সংসার নিয়ে।

যখন প্রতিযোগিতাই নেই, তখন আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোথা থেকে আসবে? তাই কারিনা ও প্রিয়াঙ্কা নিজেদের মধ্যে অসূয়া মিটিয়ে নিলেন। করণ জোহারের শোয়ে দুজনে একসঙ্গে গেলেন। তখন তাদের দেখে কে বলবে একসময়ে দুই নায়িকার মধ্যে বৈরিতা আকাশে পৌঁছেছিল!

বরং যে বিষয়ে তারা রেষারেষি করতেন, সে সবই তাদের কাছে রসিকতার বিষয় হয়‌ ওঠে। এমনকি, শাহিদ কাপুরকে নিয়ে তারা বলেন, ওই একটা বিষয়ই তাদের মধ্যে কমন! বর্তমানে দুজনেই কেরিয়ারের পাশাপাশি সংসার নিয়ে ব্যস্ত। আসলে, এক নম্বর জায়গাই যখন অন্য কারও দখলে, তখন আর অন্য দুজনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে কেন!

জয় পরাজয় আরো খবর

adv
সর্বশেষ সংবাদ
সাক্ষাতকার
adv
সব জেলার খবর
মুক্তমত
আর্কাইভ


বিজ্ঞাপন দিন

adv

মিডিয়া