ইতালি ফিরে গেলে বাংলাদেশিদের জরিমানাসহ ৩ মাসের কারাদ-ের আশঙ্কা রয়েছে, বললেন পররাস্ট্র প্রতিমিন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক : গত রোববার ৭১ টিভির নিয়মিত অনুষ্ঠান একাত্তুর জার্নালে তিনি এ কথা বলেন। মিথিলা ফারজানার সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন সাংবাদিক জহিরুল আলম ও আশিষ সৈকত।
ইতালি থেকে ফিরে আসা প্রবাসীদের বিমানবন্দরে চেকআপ করে সেলফ কোয়ারেইনটাইনে পাঠানো হলে উত্তেজিত হয়ে পড়ে তারা। তাদের বক্তব্য, তাদের শরীরে করোনাভাইরাস নেই মর্মে ইতালির ডাক্তার সার্টিফিকেট দিয়েছে। রোম এবং দুবাইর বিমানবন্দরেও তাদের চেকআপ হয়েছে বলে দাবি করছে প্রবাসীরা।
এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ইতালি থেকে আগতরা ডাহা মিথ্যা কথা বলছেন। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, করোনা আক্রান্ত কোনো দেশের হাসপাতাল ও বিমানবন্দর কাউকে সুস্থতার সার্টিফিকেট দেয় না। ইতালিতে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হওয়া রোগিও আবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ অবস্থায় ইতালি সরকার তাদের দেশের এবং দেশের বাইরের নাগরিকদের বাসা থেকে বের হতে সম্পূর্ণ নিষেধ করেছেন।
তাদের সেলফ কোয়ারেনটাইনে থাকতে বলা হয়েছে। জরুরি কাজে যেমন ড্রাগ, খাবার কিংবা স্বাস্থ্যসেবা নিতে সবাইকে একটি ফরম দেয়া হয়েছে। ওই ফরম ইতালি ভাষায় পূরণ করে নিজের সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। কেউ যদি বাইরে যায় তাকে পুলিশ আটক করলে ওই ফরম দেখালে ছেড়ে দিবে। কিন্তু বাংলাদেশীরা দেশে এসে ওই ফরম দেখিয়ে বলার চেষ্টা করছে,তারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত নন। ইতালি সরকার তাদের সার্টিফিকেট দিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রবাসীরা রীতিমত অসত্য কথা বলছে। তারা ইতালি সরকারের নির্দেশ অমান্য করে দেশে এসেছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশিরা ইতিালিতে ফিরে যাবার পর সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে তাদের ৩ মাসের কারাভোগের আশঙ্কা রয়েছে, পাশাপাশি ২০৬ ইউরো জরিমানাও হতে পারে। ইতালি সরকারের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও প্রবাসীরা কীভাবে বিমানবন্দর পার হলেন- মিথিলা ফারজানার এই প্রশ্নে শাহরিয়ার আলম বলেন, সে দেশে হয়তো সেই ব্যবস্থা নেই। এটা আমি বলতে পারবো না কীভাবে পার হয়েছে।