সিনেমা হলে জিরো, টেলিভিশনে হিরো
বিনােদন ডেস্ক : শাহরুখ খান, আনুশকা শর্মা ও ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘জিরো’ বক্স অফিসে একদমই ব্যবসা করতে পারেনি। অন্যদিকে টেলিভিশনে ভেঙে দিয়েছে দর্শকপ্রিয়তার রেকর্ড।
আনন্দ এল রাই পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে। বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত ছবি হিসেবে বিবেচিত হলেও মুক্তির পর বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। কয়েক মাস পর তার উল্টোটা ঘটেছে টেলিভিশনে। সেখানে দর্শকের অভাব হয়নি বলে জানায় জি নেটওয়ার্কস।
বলিউডে হাঙ্গামার প্রতিবেদনে জানা যায়, টিভিতে রেকর্ড ৯২ লাখ ইম্প্রেশন পেয়েছে ‘জিরো’। আর এক মাসে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে ইম্প্রেশন দাঁড়িয়েছে ৩৯ লাখ। এতে ভীষণ খুশি জি কর্তৃপক্ষ। এখন প্রশ্ন হলো- সিনেমা হল ও টেলিভিশনে এমন কী ফারাক আছে যে, দর্শক বেড়ে গেছে?
এর বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। বিশেষ করে টিভির জন্য ‘জিরো’র বিশেষ সংস্করণ তৈরি করেছে নির্মাতারা। কমিয়ে আনা হয়েছে সিনেমার দৈর্ঘ্য, যা গল্পকে আরও বেশি টান টান করেছে। এ ছাড়া ছবির প্রচারণায় শাহরুখের মঙ্গল অভিযানের প্রতি বেশি জোর দিয়েছে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
আরেকটি কারণ হলো টেলিভিশন ও সিনেমা হলের দর্শকের ভিন্নতা। সাধারণত ইতিবাচক রিভিউ, মুখে মুখে প্রশংসা ছড়িয়ে পড়লে দর্শক হলে ভিড় করে। অন্যদিকে স্যাটেলাইটের দর্শকদের মনোযোগ সেদিকে থাকে না। এ ছাড়া যারা হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে পারেনি টেলিভিশনের দিকে তাদের আগ্রহ বেশি থাকে। কারণ ছবি এবার হল থেকে নেমে গেলে দেখা সবার জন্য সহজ নয়। আবার সিনেমাটি যাদের পছন্দ- তারা হলে গিয়ে দেখা সত্ত্বেও টিভিতে চোখ রাখে। মোটের ওপর কিছু দর্শক আছে- তারা ছবি দেখতে কখনো হলে যান না।
বলিউডে হাঙ্গামার ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শুধু যে ‘জিরো’ রেকর্ড করেছেন এমন নয়। সাম্প্রতিক অতীতেও বেশ কিছু বক্স অফিস ব্যর্থ সিনেমা টেলিভিশনে প্রচুর দর্শক পেয়েছে। এ তালিকায় আছে জঙ্গলি, জিনিয়াস ও লাভরাত্রি।