নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পূ্নরায় নির্বাচন দাবি ঐক্যফ্রন্টের
নিজস্ব প্রতিবেদক : নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পূ্নরায় নির্বাচন দাবি জানিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
রাজধানীর বেলী রোডে নিজ বাসায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশের সব আসন থেকে একই রকম ভোট ডাকাতির খবর এসেছে। এই পর্যন্ত বিভিন্ন দলের শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন কমিশনকে বলছি, এই নির্বাচন বাতিল করে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পূনরায় নির্বাচন দিন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বানের ফলাফল পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয়, অবিলম্বে নতুন নির্বাচন দাবি জানাচ্ছি।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আগামীকাল আমাদের করণীয় নিয়ে বিষয় গুলো নিয়ে বসবো। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
ফখরুল বলেন, পুরো নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করছি। এটি প্রহসন। অনেকে বলেছে, ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচনো না গিয়ে ভুল করেছিলাম। এই নির্বাচন প্রমাণ করছে, ২০১৪ সালে নির্বাচন না যাওয়াটা সঠিক ছিলো। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়।
লিখিত বক্তব্য ড. কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আশ্বাস ও প্রতিশ্রুতির উপর বিশ্বাস করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অতীতের শত তিক্ত ও ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও অনেক আশা নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, তফসিল ঘোষণার পরে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী, নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হবে না। মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের কিংবা গ্রেফতার করা হবে না। কিন্তু তফসিল ঘোষণার পর থেকে আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর দেশব্যাপী ব্যাপক হামলায় ১৭ প্রার্থী আহত এবং প্রায় ১৪ হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হন।
তিনি আরো বলেন, পাইকারি হারে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়ে প্রায় ১১ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৮ জন প্রার্থী কারাগারে থেকে নির্বাচন অংশগ্রহণ করেছেন।
ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ এই নেতা বলেন, ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য সমগ্র দেশবাসী যখন প্রস্তুত, তখনই আমরা দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকা থেকে একের পর এক খবর পাই যে, গতকাল রাতেই আওয়ামী দুর্বৃত্তরা এবং নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সহায়তায় নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্সে ভরে রাখে।
আজ সকাল থেকেই খবর আসছিল, দেশের প্রায় সব কেন্দ্র থেকেই ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। কোথাও তাদের মারধর করা হয়েছে।নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারও তার নিজ কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে ধানের শীষের কোনো এজেন্ট পাননি। তাই তিনি আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমার একার পক্ষে করার কিছু নেই।’ যদিও অত্যন্ত নির্লজ্জের মতো প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারাদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে!’ অথচ সারাদেশে ব্যাপক নির্বাচনী সহিংসতায় অসংখ্য হাতাহতের ঘটনা ঘটে এবং ইতিমধ্যেই ২১ জন নিহত হয়েছে