খালেদা জিয়ার নির্বাচনে যেতে কোন বাধা নেই : মির্জা ফখরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক : খালেদা জিয়ার নির্বাচনে যেতে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাদের চাওয়া না পাওয়ার উপর খুব বেশি কিছু নির্ভর করে না৷ তারপরও আমরা মনে করি যে, তিনি এখন পর্যন্ত নির্বাচন করার জন্য যোগ্য আছেন এবং নিঃসন্দেহে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
সোমবার গুলশান বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতন্ত্র ফিরে পাওয়াও জন্যে এবং দেশের মানুষের ভোটের অধিকারকে ফিরিয়ে আনা জন্যে বিরুদ্ধি দল গুলো যে গণতন্ত্রাতিক আন্দোলন শুরু করেছে তারি অংশ হিসেবে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। এই নির্বাচনকে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহার করছি।
তিনি বলেন, শত প্রতিকুলতার মধ্যেও ক্ষমতার পরিবর্তন আমরা বিশ্বাস করি। আর বিশ্বাস করি বলেই সবকিছু জেনেও একটা অসমতল ভুমিতে, একটা আনইভেন্ট প্লেইং ফিল্ড। যেখানে সরকার সম্পূর্ণভাবে কর্তৃত্ব করছে, এবং তার সমস্ত নীল নকশা কায়েম করছে।
মহাসচিব বলেন,এর মধ্যেও আমরা আমাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য যারা মনোনয়ম চেয়েছেন তাদের সাক্ষাতকার অব্যাহত রেখেছি৷ আমরা গতকাল রাজশাহী ও রংপুর সম্মন্ন করেছি। আজকে বরিশাল ও খুলবার সাক্ষাতকার নিচ্ছি। আজকে বরিশাল বিভাগের সাক্ষাতকার শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৮৩ জন সাক্ষাতকার দিয়েছেন৷
ফকরুল বলেন, আপনারা জানেন যে এই প্রতিকূলতা কখনো এখন পর্যন্ত লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য যথেষ্ট নয়। বিরোধী দলের কোনো দাবি তারা গ্রাহ্য করেনি, নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করেননি, নিরপেক্ষ সরকার গঠন করেননি৷ তারা সংসদ ভাঙেন নি এবং প্রধানমন্ত্রী যে কথা দিয়েছিলেন নতুন করে তফসিল ঘোষণার পরে কোনো গ্রেপ্তার করা হবে না এবং নতুন করে কোনো মামলা দেয়া হবে না তা অব্যাহত রয়েছে। গতকালও আমরা খবর পেয়েছি যে সাক্ষাতকারে অংশ নেয়ার জন্য যশোরের ভাইস প্রেসিডেন্ট যে হোটেলে ছিলেন তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা তার খবর পাইনি।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রায়ই দেখছি গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং কারাগারে নেয়া হচ্ছে৷ আমাদের যারা সম্ভাব্য প্রার্থী, যারা যোগ্য তাদেকে মামলা দিয়ে জামিন না দিয়ে, জামিন শুনানিকে আরো বিলম্বিত করা হচ্ছে এবং সেটা নিবাচনের পরে দেয়া হচ্ছে। এটা একটি নতুন কৌশল।
ফখরুল বলেন, সরকার প্রশাসন নিম্ন আদালতকে ব্যবহার করে এই নির্বাচনের উপর প্রভাব বিস্তার করছে। আমরা এই বিষয়গুলো নির্বাচন কমিশনের জানিয়েছি, সরকারের গোচরে এনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার কোনো আগ্রহ তাদের কাছে দেখা যায়নি৷ সরকারের তটয়প থেকে দেখা যায়নি। তারা যে নেতিবাচক অবস্থা তৈরি করছে এই অবস্থায় কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন ও সুষ্ঠু হবে বলে আমি মনে করি না।
তিনি বলেন,আমরা আবারও বলছি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অবিলম্বে সমস্ত গ্রেপ্তার বন্ধ করা সমস্ত রাজবন্দিদের মুক্তি দেয়া। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে আমরা মনে করি৷ এটাই আমাদের আহ্বান থাকবে সকলের প্রতি।
প্রার্থীতা নিয়ে কোনো কোন্দলের আশংকা আছে কিনা এমন প্রশ্নে ফখরুল বলেন, আমাদের প্রার্থীতা নিয়ে কোনো কোন্দল নেই। যিনি নমিশন পাবেন তার পক্ষে সবাই কাজ করবেন৷ এটাকে আমরা চূড়ান্ত আন্দোলনের পথ হিসেবে নিয়েছি। এই নির্াচনে নির্ভর করছে বাংলাদেশে গণতনৃত্রের ভবিষ্যত।।
তিনি বলেন, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মানদন্ড হবে নিঃসন্দেহে যার যার দলের প্রতি আনুগত্য সবচেয়ে বেশি থাকবে, গণতন্ত্রের আনুগত্য বেশি থাকবে, যারা বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করতে চায়, সেভসকল প্রার্থীরাই এখানে নমনিশন পাবে। তবে বেশিরভাগ প্রার্থী আমাদের এই বিষযটির প্রতি একমত,তারা ঐক্যবদ্ধভাবে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবে।