মিথিলা আকন্দের কবিতা “কনডাক্টর”
– মিথিলা আকন্দ
বাতাসে নিঃস্রাব গরল অভিমান
তমসাচ্ছন্ন রাত রাশ রাশ বিষাদ নিয়ে ফটকে।
আমাদের যেসব পিতারা মাটিকাটা কাজ করত
অনুপম অভাবে –
তাদের চোখে অবসর।
তাদের হাতুড়, শাবল, আলস্য ঘুমে।
আমাদের ভাইয়েরা ক্ষণেক্ষণে বিপ্লবী
হয়ে ওঠে অসংযমী মাপে।
নিরুদ্যম প্রহরী ঘুম ঘুম হাঁকিয়ে যায়।
শয়তান সাফাই শেষে
আয়েসি চা পান করে খেজুর ডুবিয়ে।
লু – হাওয়ায় কাপড় উল্টে যায় আমাদের বোনের,
আঁচল টেনে টেনে খোলে শুক্রগ্রহ।
হাহাকার মিনার ডিঙিয়ে পাইনের ঝোপ ছাড়িয়ে
মিসরের পিরামিডে পড়ে থাকে হতাদর।
আমরা ঘুমাই
আমাদের ঘুঙুর ঘুমায়, আলতা ধোয় বালির ঝড়।
উদরের খিদেয় মোচড়াই অজগরের মত,
বিবেকের খাদ্যগুণ, চাহিদাতত্ত্ব নির্ণয়ে ব্যস্ত।
হে পিতা আর একবার এসো,
টিনের চোঙ্গা হাতে।
একজন্ম গেছ বাঙালী বাঙালী করে চেঁচিয়ে
আরেক জন্মে
ভ্রমরকে শিখিয়ে দিও কবিতা।
পিতার হাতে হাত রেখে শুনিয়ে যেও
তোমার অমর কথা
” উর্বর মাটিতে যেমন সোনা ফলে,
ঠিক তেমনি পরগাছাও জন্মে !”
আমাদের ভাইদের ঘুম পাড়িয়ে বাঁচাও।
তর্জনীতে দ্যুতি ঝড় রেখে
শিখিয়ে যাও নেতৃত্ব,
” আন্দোলন মুখ দিয়ে বললেই করা যায় না।
আন্দোলনের জন্য আদর্শ থাকতে হয়।
আন্দোলনের জন্য নিঃস্বার্থ কর্মী হতে হয়। “
সেই মন্ত্র লাঙলে চাষ করে দিয়ে যাও প্রতিটি মগজ
“শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়।”