পুঁজিবাজার অস্থিতিশীল করছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা
ডেস্ক রিপাের্ট : পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক গতিকে মন্থর ও অস্থিতিশীল করে তুলছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। সাম্প্রতিক সময়ে টানা ১৩ কার্যদিবসের ধারাবাহিক দরপতনের নেপথ্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা জড়িত বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর রশীদ।
রোববার দুপুর দেড়টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিনিয়োগকারীদের মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
অব্যাহত দরপতনে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর ব্যর্থতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।
তিনি বলেন, ২০১০ সালের পর এমন দীর্ঘমেয়াদি দর পতন দেখেননি বিনিয়োগকারীরা। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তারল্য সংকট দেখিয়ে বাজার থেকে কম দামে শেয়ার হাতিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়াও স্বল্প মূলধনী ও লোকসানি কোম্পানিগুলো নিয়ে নিয়মিত কারসাজি করছে।
মিজান-উর রশীদ বলেন, তৃতীয় মেয়াদে বর্তমান চেয়্যারম্যানকে দায়িত্ব দেওয়াটা ভালোভাবে নেয়নি বিনিয়োগকারীরা। কারণ, পূর্ববর্তী দুই দফায় বর্তমান চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন দায়িত্ব পালন করলেও তিনি ভালো কিছু দিতে পারেননি। তাই সাইডলাইনে রয়েছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।
জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে ১৩ কার্যদিবসে ধারাবাহিক পতনের আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) স্ট্রাটেজিক পার্টনার ইস্যুর সমাধান হয়। কিন্তু এর কিছু দিন আগেও কে হচ্ছে ডিএসই’র স্ট্রাটেজিক পার্টনার- এমন প্রশ্নে সূচক ও লেনদেনে মন্দা অব্যাহত ছিল।
এছাড়া ঋণের বিপরীতে সুদ হারের অনুপাত (এডিআর) ও নগদ জমা সংরক্ষণ (সিআরআর) ইস্যুতে বাজার টানা দরপতনে ভুগেছিল। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর সক্রিয়তায় উভয় ইস্যুর সমাধান হয়েছে। কিন্তু তার পরেও টানা নিম্নমুখী রয়েছে বাজার।
সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে দরপতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে ৪২৩.০৯ পয়েন্ট। এছাড়া চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক কমেছে ৭৭৬.২০ পয়েন্ট।